থ্রিডি প্রিন্টেড চোয়াল পেলেন রোগী

সম্প্রতি ক্যান্সারে বেঁচে যাওয়া একজনের চোয়াল থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহারের মাধ্যমে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2016, 01:23 PM
Updated : 5 July 2016, 01:23 PM

ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ডেন্টিস্ট্রি এর প্রসথেটিক্স বিশেষজ্ঞ, ডা. ট্র্যাভিস বেলিচি, থ্রিডি প্রিন্টার টেকনোলজি ব্যবহার করে শার্লি অ্যান্ডারসন নামের ব্যক্তির চোয়াল, জিহ্বা আর কণ্ঠ পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। শার্লি ৬৮ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত একজন রক্ষণাবেক্ষণ মেকানিক।

জিহ্বার ক্যান্সারে অ্যান্ডারসনকে কেমোথেরাপি এবং সার্জারিসহ বিভিন্ন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক এই রোগে তার চেহারার অর্ধেক অংশ নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসায় ব্যবহার্য তেজস্ক্রিয়া কেড়ে নেয় তার মুখের নিম্নাংশ।

তীব্র বিকৃতির কারণে অ্যান্ডারসনের মুখমণ্ডলের নিম্নাংশ পুনঃনির্মাণ সহজ ছিল না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাদল স্কুল অফ ইনফরমেটিক্স এবং কম্পিউটিংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যৌখভাবে কাজ করেন।

একসঙ্গে, তারা একটি ফর্মল্যাবস স্টেরিওলিথোগ্রাফিক থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করেন। ডা. বেলিচি জানান, যতক্ষণ না তিনি নিখুঁত মডেল পেয়েছেন ততক্ষণ এ নিয়ে কাজ করে গেছেন।

এই প্রক্রিয়া নিয়ে বানানো একটি ছোট ডকুমেন্টারি ভিডিও-তে তিনি বলেন, "শার্লি-কে আগের অবস্থায় নিতে যে প্রোসথেসিস দরকার হয় তা আমরা ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি-তে করেছি যা এমন যে কোনো প্রকল্পের চেয়ে বড়। আমার এই কাজের ক্ষেত্রে কেউ তার ক্যারিয়ারে এই ধরনের প্রোসথেসিস-এর 'চ্যালেঞ্জ'-এর মুখে পড়েননি।"

এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লেজারের নড়াচড়াকে সফটওয়্যারের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রচলিত সস্তা থ্রিডি প্রিন্টারের তুলনায় এ ক্ষেত্রে অনেক সঠিকভাবে কাজ করা হয় বলে জানিয়েছে ট্যাবলয়েডটি।

চিকিৎসকদের এই দলটি শার্লি ছাড়াও আরও ছয় রোগীর ক্ষেত্রে এ ধরনের পদ্ধতির আরোপ করেছেন আর নতুন রোগীও খুঁজছেন। বেলিচি বলেন, "আমরা শার্লি অ্যান্ডারসন-কে দিয়ে শুরু করেছি। আর আর আমরা আমাদের কাজের ধারা কয়েকজন অন্যান্য রোগীর ক্ষেত্রেও বিস্তৃত করেছি।"

এসব রোগীর মধ্যে একজন হচ্ছেন জ্যাকি বার্নার্ড, যিনি একটি দূর্ঘটনায় তার বাম কান হারিয়েছেন। প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্ট-এর ছয় সপ্তাহ পর তাকে তার নতুন বাম কান দেখানো হয়েছে।