যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করেন টেরি গোল্ডস্টাইন নামের ওই ব্যক্তি। গোল্ডস্টাইন জানান, অনুমতি ছাড়াই তার উইন্ডোজ ৭ কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল হয়, আর তারপর থেকে কম্পিউটারটি ঠিক মতো কাজ করছে না। ফলাফল? গোল্ডস্টেইনের হাত থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার ফসকে যায়, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক বিজনেস ইনসাইডার।
গোল্ডস্টেইন দ্য সিয়াটল টাইমসকে বলেন, “আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি আপডেট করতে চাই কিনা।" মাইক্রোসফট মূল কেইস হেরে গিয়ে আর এখন আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেইসঙ্গে আরও আইনি খরচ এড়ানোর জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার মিটিয়ে দিতে চাচ্ছে। সিয়াটল টাইমস-এ বলা হয়, “প্রতিষ্ঠানটি অপরাধ অস্বীকার করছে, আর একজন মুখপাত্র বলেছেন আরও মামলার খরচ এড়ানোর জন্য মাইক্রোসফট তাদের আপিল স্থগিত করেছে।"
উইন্ডোজ ১০ সক্রিয় হওয়ার পর থেকে মাইক্রোসফট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন ব্যবহারকারীদের এটি গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে –এর কিছু পদ্ধতি খানিকটা আক্রমণাত্মকও। কয়েক মাস আগে কয়েকজন ব্যবহারকারী জানতে পারে, আপগ্রেড করার অনুমতি দেওয়ার আগেই মাইক্রোসফট স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করে ইনস্টল করেছে।
শেষ কয়েক মাস ধরেই আপগ্রেড করার বিতর্কে মাইক্রোসফট সমালোচিত হয়ে আসছে। মাইক্রোসফটের ‘স্নিকি’ ডাউনলোডের কারনেই হোক বা ডাউনলোডের জন্য বারবার তাগিদ দেওয়ার কারণেই হোক, অনেক ব্যবহারকারীর কাছে মনে হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ তাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও মাইক্রোসফট সবাইকে হালনাগাদ করার চেষ্টা করছে, তবে এটি ‘একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে’ —ভাষ্য সাইটটির।