আইফোন ৭-এ ব্যাটারির জন্য জায়গা বৃদ্ধির সঙ্গে ফোনকে আরও পাতলা আর পানিরোধী করার জন্য ৩.৫ মিলিমিটারের সকেটটি অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা নেই অ্যাপলের, কয়েকটি অনলাইন প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সাউন্ড আউটপুটের জন্য লাইটনিং কেবল পোর্টের উপর নির্ভর করবে, যা চার্জের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অন্যদের মত হচ্ছে, অ্যাপল আইফোন ৭-এর সঙ্গে তারবিহীন হেডফোন রাখবে।
পিটিশন আয়োজন করা ‘দ্য সাম অফ আস’ নামের ‘মুনাফা পাড়ি দিয়ে জনস্বার্থে লড়তে’ বানাও ওয়েবসাইটটি বলে, “এটা শুধু আইফোন ব্যবহারকারীদের তাদের হাই-ফাই হেডফোন পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করাতে বাধ্য করবে না, এটা এক হাতেই ইলেকট্রনিকের আবর্জনার পাহাড় গড়বে, যা হয়ত কখনোই আবার ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।”
মার্কিন সংবাদ সাইট ভার্জ বলে, “ফোন থেকে হেডফোনের সকেট বর্জন করা এমন একটি বিষয় যা কেউ চাচ্ছে না, আর এতে নিম্ন উপযুক্ততা আর প্রবেশযোগ্যতা ও ডিআরএম অডিও’র মতো কিছু অপূর্ণতাও আছে।”
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সকেটটি বাদ দিলে এতদিনের দামি হেডফোনগুলোকে অকেজো করে দেবে। অনেকে আবার অভিযোগ করেন, লাইটনিং পোর্ট ব্যবহার করা মানে ‘চার্জ করার সময়টুকু মিউজিক থাকছে না’।
একজন টুইট করেন, “যতক্ষণ তারা আইফোন ৭-এর বক্সে লাইটনিং ইয়ারবাডস দিচ্ছে ততক্ষণ অ্যাপলের হেডফোন সকেট বাদ দেওয়াতে আমার কোনো সমস্যা নেই।” বাকিরা বলে তারা তাদের ফোনটি আপগ্রেড করতে যাবেন না।
কিন্তু সবাই জ্যাকটি বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে খারাপ ধারণা হিসেবে দেখছেন না।
জ্যাকটি বর্জনে আরও বড় ব্যাটারির জন্য জায়গা হবে বলে মতামত দেন, ‘ডেয়ারিং ফায়ারবল’ নামের প্রযুক্তি ব্লগের লেখক আর অ্যাপলের সব খবরের উপর কর্তৃত্ব রাখা জন গ্রুবার।
তিনি লেখেন, “অ্যানালগ হেডফোন জ্যাকটি বর্জন করা হবেই। এটাই অ্যাপলকে আলাদা করে। দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য অ্যাপল বেদনাদায়ক রূপান্তরটি ঘটাবে।”
“পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা অ্যানালগ হেডফোন জ্যাকটিকে অন্য সব বর্জিত পোর্টগুলোর মতো করেই দেখব।”
২০১৪ সালে অ্যাপল হেডফোন জ্যাকের জন্য লাইটনিং কেবল নিয়ে আসে।
একই বছরে অ্যাপল তিনশ’ কোটি মার্কিন ডলারে হেডফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিটস কিনে নেয়।
অ্যাপলবিষয়ক গুজবের সাইট ম্যাকরিউমার্স জানায়, অক্টোবরে ‘ইয়ারপডস’ টার্মটির জন্য একটি ট্রেড মার্কের দরখাস্ত জমা দেয় অ্যাপল। দরখাস্তগুলোর সঙ্গে অ্যাপল সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও, সাইটটি বলে, “অ্যাপলের স্বাভাবিক কৌশলের সঙ্গে দরখাস্তের প্যাটার্ন মিলে যায়।”
১৯৯৮ সালে অ্যাপল ফ্লপি ডিস্ক ছাড়াই আইম্যাক জি৩ বাজারে ছাড়ে, এতে এই পদক্ষেপের পেছনে পাণ্ডিত্য কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু এক দশক পরেই ফ্লপি ডিস্কের প্রবর্তক সনি ঘোষণা দেয়, তারা এই স্টোরেজ ডিভাইস আর রাখছে না।