জোরপূর্বক শ্রম: লড়াইয়ে এগিয়ে এইচপি, অ্যাপল

সাপ্লাই চেইনের মধ্যে জোরপূর্বক শ্রম ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষস্থানে রয়েছে এইচপি এবং অ্যাপল, বৃহস্পতিবার এ নিয়ে করা এক তালিকায় এমনটাই দেখা যায়।

নিলয় সিদ্দিকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2016, 01:59 PM
Updated : 25 June 2016, 01:59 PM

রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন-এর সূত্রমতে, আনুমানিক দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয় এবং জোরপূর্বক এই শ্রমের কারণে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর ১৫ হাজার কোটি ডলার অবৈধ মুনাফা করে থাকে।

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন রিসোর্স হিসেবে কাজ করা ওয়েবসাইট নো দি চেইন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপাদান বানানোর কাজে যাদের জড়িত দেখা যায়, তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ অভিবাসী এবং জোরপূর্বক এই কাজের সঙ্গে জড়িত। অনেক সময় তাদের বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে কম মজুরি দিয়ে বেশি কাজ করানো হয়।

এই ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এইচপি, অ্যাপল, ইনটেল, সিসকো এবং মাইক্রোসফটের নাম। তবে, এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক শ্রম নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এর মধ্যে 'অল্পসংখ্যক' প্রতিষ্ঠান এই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় 'পুরোপুরি' কাজ করেছে, যেমন- শ্রমিকদের কিছুটা স্বাধীনতা এবং অভিযোগ জানানোর সুযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই প্রতিবেদন।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণসচেতনতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা,  ক্রয় চর্চা, পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া বিষয়গুলোর উপর রেট করা হয়।

এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, সাপ্লাই চেইনের সব কর্মীর অবশ্যই প্রাপ্ত মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া উচিত। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, “আমরা প্রতিবছর কঠোর পরিশ্রম করছি এর মাণ বাড়াতে। কাজের পরিবেশ এবং মানবাধিকার রক্ষা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। সাপ্লাই চেইনের মধ্যে মানবপাচার এবং দাসত্বের বিরোধিতা জানাই আমরা”।

এইচপি-এর একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এই জোরপূর্বক শ্রমের নিন্দা জানান এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু ইনটেল, মাইক্রোসফট এবং ক্যানন এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।