যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি-তে অনুষ্ঠিত হওয়া সপ্তম গ্লোবাল অনট্রাপ্রোনারশিপ সামিট উদ্বোধন করেন কেরি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১০ সালে এই সামিট চালু করেছিলেন। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের উদ্যোক্তাদের সিলিকন ভ্যালির সফল প্রধান নির্বাহীদের কথা শোনার, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দেখা করার আর সরকারি সম্পদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছিল, জানিয়েছে সিএনএন।
১৫ হাজার অংশগরহণকারীর ওই অনুষ্ঠানে কেরি উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সময় তিনটি ‘জেনারেশনাল চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে ভাবতে বলেছেন। তিনি জানান, শিক্ষাগত সরঞ্জাম বিচ্ছিন্নতায় হারিয়ে যেতে পারে এমন তরুণদের কাছে সহায়তার হাত পৌঁছে দিতে পারে। পরিবেশবাদী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো পাবলিক আর প্রাইভেট সেক্টরকে ‘লো-কার্বন’ আর ‘লো-ইমিশন’ অর্থনীতিতে পরিণত করতে সাহায্য করতে পারে। আর অর্থ আর দায় খুঁজতে পারা সফটওয়্যারগুলো দূর্নীতি কমাতে পারে।
“আপনারা হয়ত এই সমস্ত ইসুগুলো আপনাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে ভাবতে যাবেন না, কিন্তু আমাকে বলতে দিন... প্রতিটি সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের আপনার সৃজনশীলতার প্রয়োজন আছে,” কেরি বলেন।
কেরির মতে, এটি শুধু সবার ভালোর জন্যই না, এটি একটি স্মার্ট ব্যবসায়িক পদক্ষেপও।
“কীভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হবে তাতে আপনাদের একটি মৌলিক আগ্রহের ব্যপার আছে,” তিনি বলেন। “সন্ত্রাসী হামলার ভয় ছাড়া আপনারা একটি ব্যবসা চালাতে চাইবেন। সবুজ শক্তির বাজারে অর্থনৈতিক সুযোগগুলোর সুবিধা নিতে চাইবেন আপনারা। ঘুষ দেওয়া ছাড়াই আপনারা আপনাদের প্রতিষ্ঠান খুলতে চাইবেন।"
কেরি তার দিনটি ২০ বা কিছু বেশি বয়সী যেসব প্রধান নির্বাহী অফিসে জিন্স আর হুডি পড়ে যায় আর প্রচলিত অব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টা করে, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি মেনলো পার্কে 'হুডি পড়া আসল' প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে দেখা করতে যান, আর ফেসবুকের প্রধান কার্যালয় ঘুরে দেখেন।
স্ট্যানফোর্ড থেকে বের হওয়ার আগে তিনি ক্যাম্পাসের চারদিকে হাঁটেন আর গুগলের একটি স্বয়ংচালিত গাড়ির পেছনের সিটে বসে নেন। গাড়িটি পার্ক করা অবস্থাতেই ছিল।