বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপগ্রেডের জন্য আসা পপ-আপ বক্সে নিজেদের সুবিধামতো পরিবর্তন আনার জন্য মাইক্রোসফটের উপর ক্ষেপে আছেন অনেক ব্যবহারকারী। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে মাইক্রোসফট জানায়, ভবিষ্যতে উইন্ডোজ একটি বাড়তি নোটিফিকেশন প্রদান করবে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী আপগ্রেড বাতিল করার সুযোগ পাবেন।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়, সমালোচনার মুখে পড়ে দুই সপ্তাহ আগেই তারা পপ-আপ বক্সে পরিবর্তন আনে। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, তারা আরও একটি নোটিফিকেশন নিয়ে আসবে যেখানে আপগ্রেডের সময় ঠিক করে দেওয়ার সঙ্গে গোটা আপগ্রেডের প্রক্রিয়াই বাতিল করার সুযোগ থাকবে ব্যবহারকারীর হাতে। এ ছাড়া কেউ তাদের আপগ্রেড সম্পূর্ণ করতে চাইলে নোটিফিকেশনের 'ওকে' বাটনে ক্লিক করলেই নির্ধারিত সময়ে আপগ্রেডের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
নিজেকে উইন্ডোজ ১০-এর ভক্ত বলে ঘোষণা দেওয়া পিসিওয়ার্ল্ড-এর জ্যৈষ্ঠ সম্পাদক ব্র্যাড চ্যাকোস মাইক্রোসফটের পরিবর্তিত পপ-আপের কৌশলটিকে 'নোংরা চাল' বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, আরও কতগুলো পপ-আপ জুড়ে দিয়ে বর্তমান অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। মাইক্রোসফটের উচিত 'না, এটা আমি চাই না' নামের বাটন যুক্ত করে সরাসরি আপগ্রেড প্রত্যাখ্যান করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আগে ক্রস বাটন চেপে যেকোনো আপডেট বাতিল করা যেত। মাইক্রোসফটের বর্তমান কৌশল অনেকটা ব্যবহারকারীকে ‘গাড়িতে চাপিয়ে তার ব্রেক খুলে নেওয়া’র মত, বলেন চ্যাকোস।
অনেক ব্যবহারকারী বিবিসিকে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। হাভার্ড হগস নামের এক ব্যবহারকারী জানান, আপডেটের সুপারিশ কয়েকবার বাতিল করে দেওয়ার পরেও রেহাই পাননি তিনি। গুরুত্বপূর্ণ একটি ইমেইল লেখার মাঝখানেই শুরু হয়ে যায় উইন্ডোজ ১০-এর আপগ্রেড কার্যক্রম। এরপরে হগস উইন্ডোজ ৭-এ ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালালে গোটা কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমই বাতিল হয়ে যায়। তিনি জানান, তথাকথিত বিনামূল্য এই আপডেটের বদৌলতে তাকে তার কম্পিউটার আবার প্রথম থেকে ঢেলে সাজাতে হবে।
হগস বলেন, "নিজের পয়সায় কেনা সফটওয়্যার এবং উইন্ডোজ ৭ নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিলাম কিন্তু আপগ্রেড নিয়ে যে ঝামেলা হল তাকে আমার জন্য চরম বিপর্যয় বলা চলে।"