সংবাদ সাইট বন্ধে মার্কিন ধনকুবের

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রচার মাধ্যমের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য তার নিজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন একটি সাইট বন্ধ করতে সম্পদের একটি অংশ ব্যয় করেছেন। এ জন্য পরিচয় গোপন রেখে তিনি ওই সাইটের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনায় অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাইট বিজনেস ইনসাইডার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2016, 11:49 AM
Updated : 27 May 2016, 11:49 AM

এই প্রচার মাধ্যম কোনটি? আর লোকটিই বা কে? এই প্রচার মাধ্যম হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক। আর লোকটির নাম পিটার থিল, এই ধনকুবের যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল লিবার্টারিয়ান পার্টি-এরও একজন সদস্য। শুধু তাই নয়, সিলিকন ভ্যালিতে তিনি একজন প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী এবং অনলাইন লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পেপাল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

একটি 'সেক্স টেপ' বিষয়ে আলোচনার ব্লগ গকার-এর বিরুদ্ধে মামলায় রেসলার  হাল্ক হগান-কে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তিনি, চলতি সপ্তাহে বিষয়টি স্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান মননোয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর এই সমর্থক।

এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আর সাংবাদিকদের সত্য বলার ক্ষমতায় কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে এখন লোকে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বলে জানিয়েছে সাইটটি।

কেন গকারের প্রতি তার এই মনোভাব? "পিটার থিল ইজ টোটালি গে, পিপল" শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাইটটি। এর পর থেকেই থিল-এর লক্ষ্যে পরিণত হয়। এই প্রতিবেদনের লেখক ২০১২ থেকে ২০১৩ সালে বিজনেস ইনসাইডার-এ কাজ করেছিলেন বলে জানিয়েছে সাইটটি।

অন্যদিকে, থিল নিজেকে একজন মতপ্রকাশ আর সাংবাদিকতার রক্ষক হিসেবে দাবি করেন। ২০০৮ সালে তিনি কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) -কে আড়াই লাখ ডলার প্রদান করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, "মতপ্রকাশের গুরুত্বের আমি একজন সত্যিকার সমর্থক,  আমি বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সিপিজে-এর লড়াইয়ে সমর্থন করতে পারে আনন্দিত।"

বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত তার এক সাক্ষাৎকারে জানা যায়, তার কার্যক্রম সাংঘর্ষিক এমন বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "আমি এটা মানতে নারাজ যে, সাংবাদিকতা মানে হচ্ছে বড় আকারে গোপনীয়তা লঙ্ঘন। এটা সঠিক, কারণ আমি সাংবাদিকদের সম্মান করি, গকার-এর বিরদ্ধে লড়াইয়ে তারা বিপদগ্রস্থ বলে আমি বিশ্বাস করি না।"

কয়েকজন সাংবাদিক এ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।