১২ বছরের বিস্ময় বালক তানিশক!

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, চিকিৎসক এবং চিকিৎসা গবেষক হওয়ার প্রশংসনীয় উচ্চভিলাসী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ১২ বছর বয়সী এক বালক।

মোস্তফা মিনহাজ উদ্দিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2016, 03:44 PM
Updated : 26 May 2016, 03:44 PM

লক্ষ পূরণে অবশ্য তানিশক আব্রাহাম নামের এই বালককে প্রথমে কলেজে ভর্তি হতে হবে। তবে সেটি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই! ইতোমধ্যে ‘ইউসি ডেভিস’ (UC Davis) এবং ‘ইউসি সান্তা ক্রুজ’ (UC Santa Cruz)-এ সম্মানজনক ‘রিজেন্ট’ স্কলারশিপ পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি সিএনএন-কে বলেন, “আমি খুবই উদ্দীপ্ত ছিলাম সান্তা ক্রুজ এবং ইউসি ডেভিস-এ সুযোগ পেয়ে। এটা আমার জন্য একটা বড় মুহুর্ত ছিল”।

ইউসি ডেভিস হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট ডেভিস এবং ইউসি সান্তা ক্রুজ হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা ক্রুজ।

বলাই যায়, কলেজ তানিশক্‌-এর জন্য কোনো নতুন অভিজ্ঞতা হবে না। তিনি সাত বছর বয়স থেকেই ‘কমিউনিটি কলেজ’-এ আংশিকভাবে যোগদান করেন। ১০ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ‘ডিপ্লোমা’ অর্জন করেন এবং ইতোমধ্যে সাক্রামেন্টো-এর একটি কলেজ থেকে তিনটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তিনি ইউসি ডেভিস বা সান্তা ক্রুজ-এ ‘জুনিয়র’ হিসেবে যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জুন মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। তানিশক জানান, তিনি দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সেখানে গেলে তিনি গবেষণা শুরু করতে পারবেন।

কোন বিষয়ের চিকিৎসক হতে চান, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে ‘কার্ডিওলোজি’ এবং ‘নিউরোলোজি’-তে আগ্রহী তিনি। যদিও তার পড়ালেখা পিতামাতার অবদান ছাড়া হয়নি। তার মা তাজি বলেন, “সে খুব দ্রুতগতি-তে অগ্রসর হয়েছে”। তিনি আরও জানান, তার ছেলেকে ছয় বছর বয়সে কলেজ ‘কোর্স’ গ্রহণ করতে বলা হয়।

এ ছাড়াও তাজি জানান, তিনি এবং তার স্বামী একটি রোবোটিক ফার্ম-এর প্রকৌশলী। তারা তাদের সন্তানকে পাবলিক স্কুলে রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সাত বছর বয়সে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাকে কমিউনিটি কলেজ-এর কোর্স গ্রহণ করতে বলে। সে জ্ঞানের ব্যাপারে উৎসাহী এবং খুবই মনোযোগী।

তাজি, সন্তান হওয়ার আগে ভারত থেকে ‘ভেটেরিনারিয়ান’ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তার ছেলের সঙ্গে ভূতত্ত্ব এবং জ্যোতির্বিদ্যা কোর্সে যোগ দেন।

টায়রা নামের তানিশক-এর ১০ বছরের একটি বোন রয়েছে। তিনিও কম যান না, কিন্তু আগ্রহটা ‘মিউজিক’ এবং বিদেশী ভাষার মতো ভিন্ন বিষয়ে। তাদের দুইজনের ‘অ্যাডভেঞ্চারস্‌ অফ চাইল্ড প্রোডিজি/চাইল্ড জিনিয়াস’ নামের একটি ফেইসবুক পেইজ রয়েছে।

তাদের মা জানান, শেখার ব্যাপারে এত উৎসাহিত সন্তান থাকা কঠিন কিন্তু তারা পাঁচ বছর ধরে এটাই ‘ম্যানেজ’ করে আসছেন।

ইউসি-এর একটি বিশবিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে অধীর আগ্রহ থাকলেও আরেকটি ব্যাপার তানিশক বোঝার চেষ্টা করছেন, কেন তাকে স্ট্যানফোর্ড গ্রহণ করল না।