সিএনএন জানিয়েছে, নতুন তহবিলে নুন্যতম ২০ কোটি ডলার আশা করছে স্ন্যাপচ্যাট। বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, চলতি বছরের ১৩ মে প্রতিষ্ঠানটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার নতুন শেয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
এ নিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ সোমবার জানায়, তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির উপার্জিত অর্থের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির মোট বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬০০ কোটিতে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তহবিল যোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির মূল্য ২২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি হয়ে যাওয়া শেয়ার মূল্য ৩০ দশমিক ৭২ ডলারে স্থিতিশীল থাকতে পারে।
সানট্রাস্ট-এর বিশ্লেষক রবার্ট প্যাক-এর মতে, প্রতিষ্ঠানটির মূল্যমান কোনো অংশেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে না।
সিবি ইনসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্ন্যাপচ্যাটের মূল্যমান যদি দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায় তবে, এটি হবে বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে মূল্যবান ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে এ তালিকায় শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পালানটির এবং দিদি কুয়াইদি দুইটি প্রতিষ্ঠানের মূল্যমান দুই হাজার কোটি ডলার, উবার-এর ৬২৫০ কোটি ডলার , শিয়াওমি ৪৬০০ কোটি ডলার এবং এয়ারবিএনবি ২৫৫০ কোটি ডলার অর্থমূল্যের সমান।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিষ্ঠানের মেধাবৃত্তিকে শক্তিশালী করার উপরে জোর দিচ্ছেন স্ন্যাপচ্যাটের ২৫ বছর বয়সী প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পাইজেল। গুগলের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বিশেষজ্ঞ মটি ইয়াং এবং প্যানডোরার নির্বাহী টম কনরাডকে ইতোমধ্যেই নিজের দলে ভিড়িয়েছে স্ন্যাপচ্যাট।
স্ন্যাপচ্যাটে চলতি বছরের মার্চে আধ-ডজন নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ভয়েস কল এবং অডিও বা ভিডিও মেসেজিংয়ের সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য তরুণরা। গবেষণায় দেখা গেছে তাদের শতকরা ৬৩ শতাংশ ব্যবহারকারীই ১৩-২৪ বছর বয়সীরা।
২০১৩ সালে ফেইসবুক স্ন্যাপচ্যাটকে তিনশ’ কোটি ডলারে কিনে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে স্ন্যাপচ্যাটের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি।