রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের জনপ্রিয় '৭ ইলেভেন' চেইন স্টোরের এটিএম বুথ ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। মাত্র তিন ঘন্টার কম সময়ে ১৪ হাজার বার অর্থ উত্তোলন করেছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের ১৫ তারিখে তারা ১৪০০ কোটি ইয়েন চুরি করেছে এটিএম বুথ ব্যবহার করে যার পরিমাণ প্রায় ১৩০ কোটি ডলার।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় ব্যংকের সহকারী গভর্নর কুবেন নাইডু নিশ্চিত করেছেন যে ক্ষয়ক্ষতির ভার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বহন করবে। ব্যাংকটির 'রেজিস্টার অফ ব্যাংকস' রেনে ভন ভেক বলেন, বিদেশি বিক্রেতাদের উপর নির্ভর করেন এমন ঋণদাতাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সাইবার হামলাগুলো দক্ষিণ আফ্রিকায় মধ্যে না হয়ে অন্য দেশে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঝুঁকি থাকবেই, সুতরাং বিক্রেতা-ব্যাংক সম্পর্কের উপরেই আমরা বেশি জোর দিচ্ছি।’
সোমবার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এর পক্ষ থেকে বলা হয় লোকসানের দায়ভার ব্যাংক বহন করবে। গ্রাহকদের কোনো অর্থ খোয়া যাবে না এবং এ ব্যাপারে তারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ব্যাংকটি।
জাপানের মাইনিচি সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন উৎস পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ ১০০ জনেরও বেশি লোক এই চুরির ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করছে।
'৭-ইলেভেন' স্টোরের বেশিরভাগ এটিএম বুথই সেভেন ব্যাংক এর অন্তর্ভুক্ত। সেভেন ব্যাংক হল জাপানের মাত্র দুটি ব্যাংকের মধ্যে একটি যারা বিদেশি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দিয়ে থাকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লেনদেনের হিসাব নিরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় দুটি ব্যাংকই দোষের ভাগীদার। অস্বাভাবিক কার্যকলাপ ধরার জন্য তাদের নিজস্ব উপায় থাকা উচিত ছিল ব্যাংক দুটির।
সহকারী গভর্নর নাইডু বলেন, এখনো বিস্তারিত জানা না গেলেও আমরা এধরনের আক্রমণ থেকে আমাদের পেমেন্ট সিস্টেম এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। তিনি আরো বলেন, সাইবার আক্রমণ চিহ্নিত এবং প্রতিহত করার ব্যাপারে আমরা অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।