এবার স্যামসাং-হুয়াওয়ে পেটেন্ট যুদ্ধ

প্রযুক্তিপণ্য বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করল চীনের যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে তারা।

নাজিয়া শারমিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 02:02 PM
Updated : 25 May 2016, 02:46 PM

স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে দুটি আদালতে মামলা দায়ের করেছে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে এবং অপরটি চীনের শেনজেন-এ। হুয়াওয়ে জানিয়েছে, তাদের আবিষ্কৃত বিভিন্ন সেলুলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সফটওয়্যার তাদের অনুমতি ছাড়াই স্যামসাং ব্যবহার করেছে। স্যামসাংয়ের এক মুখপাত্র এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নির্দিষ্টভাবে কোন পণ্যের ক্ষেত্রে এ পেটেন্ট মামলা করা হয়েছে, তা এখনও খোলাসা করা হয়নি। হুয়াওয়ে জানিয়েছে, এর মধ্যে কিছু আছে যেগুলো ‘ফ্রান্ড’ এর অন্তর্ভুক্ত। ফ্রান্ড-আইনি খাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ, যার অর্থ ‘নিরপেক্ষ, যুক্তিযুক্ত ও বৈষম্যহীন’।

এমন চুক্তি প্রযুক্তি বাজারে বেশ সাধারণ। কারণ এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং ডেটা আদান প্রদানে সুবিধা হয়। হুয়াওয়ের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টির প্রধান ডিং জিয়ানজিং জানিয়েছেন, এই মামলায় অর্থের বদলে তারা স্যামসাংয়ের কিছু প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি চাইবেন।

তিনি বলেছেন, “এ পর্যন্ত আমরা আমাদের ডজন ডজন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ক্রস-লাইসেন্সিংয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আমরা আশা করব স্যামসাং হুয়াওয়ে-এর গবেষণায় বিনিয়োগ ও পেটেন্টকে সম্মান করবে, আমাদের পেটেন্ট লঙ্ঘন বন্ধ করবে এবং হুয়াওয়ে থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স সংগ্রহ করবে, আর হুয়াওয়ের সঙ্গে শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

সম্প্রতি ওরাকল এবং গুগল যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কপিরাইট মামলার রায়ে লড়ছিল। বর্তমানে এমন যুদ্ধ বেশ সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ২০১১ সাল থেকে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের সঙ্গে স্যামসাংয়ের দ্বৈরথ তো আছেই।

একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিষয়গুলো সাম্প্রতিক হলেও তার মানে এই নয় যে হুয়াওয়ে ও স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রেও একই ফল হবে।

চার্টার্ড ইনস্টিটিউশন অফ পেটেন্ট অ্যাটর্নিস-এর ইলায়া কাজি বলেছেন, “হুয়াওয়ে মামলায় প্রাথমিক সমঝোতায় আসতে চাইতে পারে। আমরা জানি না এর এভাবেই চলার ইচ্ছা কিনা। বেশিরভাগ মামলায় এমনটাই ঘটে।”