অগ্নাশয় ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি

মানবদেহে ক্যান্সারের অন্যতম ভয়াবহ রূপ অগ্নাশয় ক্যান্সার নিরাময়ে একটি চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে এ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে আশা করছেন তারা।

আহমেদ ইফতিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2016, 11:41 AM
Updated : 23 May 2016, 11:41 AM

বিজনেসইনসাইডার জানায়, বিরল এ দুরারোগ্য রোগ স্টিভ জবস, প্যাট্রিক সোয়েইজসহ প্রযুক্তিক্ষেত্রের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই রোগের বিস্তার এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতার প্রধান কারণ হলো অগ্নাশয়ের অবস্থান পাকস্থলীসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাছাকাছি হওয়া।

প্যানথার থেরাপিউটিকস-এর সিইও ও টিইডি-এর দায়িত্বে নিয়োজিত লরা ইন্ডোলফি জানান, "অগ্নাশয় ক্যান্সার সবচেয়ে গুরুতর ক্যান্সারগুলোর অন্যতম হওয়ার কারণ এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া।"

তিনি জানান, সার্জারি চলাকালে অগ্নাশয়ে পৌঁছানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে এক্ষেত্রে কেমোথেরাপিই একমাত্র ভরসা। তবে রক্তস্রোতে কেমোথেরাপি ইঞ্জেক্ট করার সময়ও অগ্নাশয় টিউমারে খুব কম সংখ্যক রক্তকণিকাতেই পৌঁছানো সম্ভব হয়।

এ সমস্যা সমাধানে এমআইটি এবং ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের সহায়তায় অগ্নাশয়ে সরাসরি কেমোথেরাপি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নতুন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তিনি। এতে কোনো জটিল সার্জারি ছাড়াই ক্যাথারেটারের সাহায্যে কেমোথেরাপি ওষুধগুলোকে সরাসরি টিউমার বরাবর প্রয়োগ করা যাবে। এতে প্যাকলিট্যাক্সেল নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হবে, যা অগ্নাশয়ের ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, "ব্যাপারটা অনেকটা রাস্তা ধরে গন্তব্যে পৌঁছানোর বদলে প্যারাসুট ব্যবহার করার মতো। আমাদের এ ধরনের এমবেডেড ওষুধ যুক্ত ডিভাইস আছে।"

এই ডিভাইস এখনও পর্যন্ত পরীক্ষাধীন পর্যায়ে আছে, ফলে মানবদেহে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়নি।

ইন্ডলফি গত মার্চে জানান, এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে, ফলে পাঁচ বছরের মধ্যেই ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।