সেলসফোরস-মাইক্রোসফট গুজবই রয়ে গেল

এক বছর আগে মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবং ক্লাউড সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সেলসফোরস-এর মধ্যে মালিকানা হাতবদলের নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংযুক্ত না হলেও প্রতিষ্ঠান দুটি নিয়ে গুজব চালু থেকেই যায়।

শাহরিয়ার হাসান পরশবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2016, 03:04 PM
Updated : 22 May 2016, 03:04 PM

সিএনবিসির ডেভিড ফেবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, মাইক্রোসফট সেলসফোরসকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেলসফোরসের প্রধান নির্বাহী মার্ক বেনিওফের চাহিদা ছিল সাত হাজার মার্কিন ডলার। সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা তখন মিইয়ে গেলেও বিশ্লেষকদের মতে এখনও দুই প্রতিষ্ঠানের সংযোজনের সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি সপ্তাহে সিএনবিসি-এর নিয়মিত অনুষ্ঠান 'ম্যাড মাংকি'র উপস্থাপক জিম ক্রেমার সেলসফোরস-এর  প্রধান বেনিওফকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সেলসফোরস-মাইক্রোসফটের গুজবের ব্যাপারে একটি ইতি টানতে। বেনিওফের জবাব ছিল মজাদার। তিনি বলেন, “এটি একটি অসাধারণ মুহূর্ত যে আপনি দেখছেন সেলসফোরস আয় দিন দিন বাড়ছে। আমি এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৮ বছর যাবত কাজ করি এবং আমি মনে করি আমরা চমৎকার সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। প্রতিষ্ঠানটির অংশ হিসেবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।"

উত্তরটি সন্তোষজনক না হওয়ায় ক্রেমার পুনরায় সংযুক্তির ব্যাপারটি জিজ্ঞাসা করেন। আগের প্রশ্নটি বিভ্রান্তিকর দাবি করে বেনিওফ আবার বলেন,  "সেলসফোরস চমৎকার একটি যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে আমি কখনোই সেলসফোরস-এর ব্যাপারে এতটা উত্তেজনা অনুভব করিনি।  আমি বলতে চাচ্ছি, সেলসফোরস-এর জন্য এখন একটা অসাধারণ সময় । যখন আমি গুজবের ব্যাপারে শুনি আমি সেগুলোকে একপাশে ফেলে আমার কাজের ক্ষেত্রে  মনোনিবেশ করি, যা একটা প্রধান নির্বাহীর কাজ, তাই আমি বলছি। আমি নিশ্চিতভাবে আশা করি এই প্রান্তিক তার প্রমাণ দেবে।"

বেনিওফের কথায় আসলে স্পষ্ট হয় না যে সংযুক্তির ব্যাপারটা আদৌ বাতিল হয়েছে কি না। এ ছাড়া বেনিওফের 'ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত' কথাটা থেকে বোঝা যায় সেলসফোরসের ব্যবস্থাপনায় একটি বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন তিনি, মত বিজনেস ইনসাইডার-এর।  

সেলসফোরস-এর সাম্প্রতিক ফলাফল আসলেই এর জন্য আশাব্যঞ্জক। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয় আটশ' কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং তার সিকিভাগ সেলসফোরস ইতোমধ্যে অর্জন করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ৫০ শতাংশ বেড়েছে এবং এখন পর্যন্ত তা বেশ উঁচুতেই অবস্থানে করছে।