‘সমর্থন ঠিক হয়নি’, আক্ষেপ অ্যান্ড্রেসেনের

নিজেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের উদ্ভাবক হিসেবে দাবি করা অস্ট্রেলীয় উদ্যোক্তা ক্রেইগ রাইটকে সমর্থন জানানোর পর এবার ওই সিদ্ধান্তে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিটকয়েন ফাউন্ডেশনের প্রধান গ্যাভিন অ্যান্ড্রেসেন।

ইফতেখার আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2016, 01:56 PM
Updated : 5 May 2016, 01:56 PM

বিটকয়েনের উদ্ভাবক সাতোশি নাকামতো আসলে তার নিজেরই ছদ্মনাম - রাইটের সোমবারের এ ঘোষণার পর তাকে সমর্থন জানিয়ে ব্লগে লেখেন অ্যান্ড্রেসেন। এ প্রসংগে তার কাছে রাইটের উপস্থাপিত প্রমাণে তিনি "বিবেচনাযোগ্য সব সন্দেহের উর্ধ্বে বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছেন" বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাইটকে এমন সব ক্রিপ্টোগ্রাফিক কি ব্যবহার করতে দেখেছেন, যা "কেবল সাতোশির কাছেই থাকা সম্ভব।"

রাইটের উপস্থাপিত অংশবিশেষ সাতোশির ব্যবহৃত সাত বছরের পুরোনো একটি লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একগুচ্ছ ডিজিট ব্যবহার করে বানানো হতে পারে - এমন যুক্তি উত্থাপিত হওয়ার পর সমালোচকেরা রাইটের এ দাবিতে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

এ প্রসংগে নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক ড্যান কামিনস্কির প্রশ্নের মুখে অ্যান্ড্রেসেন বলেন, "তার পোস্ট দেখার আগেই আমার এ পোস্ট দেওয়াটা ভুল ছিল। আমার ধারণা ছিলো তার পোস্টে শুধু তার নামে একটি বার্তা থাকবে, যা খুব সহজেই যাচাই করা যাবে।" তবে, অ্যান্ড্রেসেন এখনও তার দৃষ্টিভংগির পরিবর্তন বিষয়ে ব্লগে কোনো কিছুই জানাননি।

রাইট অবশ্য এখন পর্যন্ত বিটকয়েন ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জন ম্যাটোনিস-এর সমর্থন পাচ্ছেন। রাইট পরবর্তীতে "আলাদাভাবে যাচাই করা যাবে এমন কিছু ডকুমেন্ট" এবং প্রথম দিককার একটি ব্লক থেকে বিটকয়েন সরানোর মতো কিছু "অসাধারণ প্রমাণ" উপস্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এ প্রসংগে অ্যান্ড্রেসেন-এর সন্দেহের বিবেচনায় ড. রাইটের দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে বিবিসির কাছে মন্তব্য করেন কামিনস্কি।

তিনি বলেন, "গ্যাভিন (অ্যান্ড্রেসেন) রাইটকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করছেন না। রাইট তার উচ্চাভিলাষী প্রত্যাশাগুলো পূরণ করতে পারবেন, এমনটা আমি আশা করি না, তবে তিনি এখনই পিছু হটবেন বলেও আমি মনে করি না।"

অন্যদিকে ড. রাইট আর কোনো সাক্ষাতকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে তার সাম্প্রতিক ব্লগে তিনি বলেন, "কারো কারো জন্যে কোনো প্রমাণই যথেষ্ট নয়, এমন কোনো প্রমাণ নেই যাকে ভুয়া বা পরিবর্তিত অজুহাতে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিশ্বাসের প্রকৃতিই এটি, আর এর বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতরানোর চেষ্টা অর্থহীন।"