কিন্তু ইংল্যান্ড-এর সাটোন কোল্ডফিল্ড-এর বাসিন্দা রিচেলা হেকিংয়ের সঙ্গে এমনটা হয়নি।
নিজের প্রেমিক বেন মার্লো-এর ৩০তম জন্মদিনের চমক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস শহরে ট্রিপের ব্যবস্থা করেন। আর এই জন্যে ২ বছর ধরে অর্থ জমিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু আসল চমকটি পাওয়া যায় বার্মিংহাম এয়ারপোর্টে। যখন তিনি এয়ার্টপোর্টে যান আমেরিকান এয়ারলাইন্সের টেবিলে তিনি কাউকে খুঁজে পান না।
এটার কারণ কি হতে পারে? কারণ এটাই যে রিচেল আসলে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস-এর বুকিং ইংল্যান্ড-এর বার্মিংহাম থেকে দেননি, দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাষ্ট্রের বার্মিংহাম থেকে।
সংবাদমাধ্যম বার্মিংহাম মেইল-কে তিনি জানান, ওয়েবসাইটটির নাম ছিল লাস্টমিনিট ডটকম, যাদের আরও পরিষ্কার করে এলাকার তথ্যগুলো দেওয়া উচিৎ ছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল-এর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এয়ারপোর্ট থেকে তিনি যখন ওয়েবসাইটিতে ফোন করেন, তারা (ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ) কোনো রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিল না।
ডেইলি মেইল থেকে লাস্টমিনিট ডটকম-এর কাছে মন্তব্য চাওয়া হলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি। কিন্ত এক মুখপাত্র জানান, প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে সাহায্য করার কিন্তু ১ হাজার ৭শ' ৫০ ডলার অফেরতযোগ্য ছিল বলে আমরা ফেরত দিতে পারছি না।
এই ধরনের ভুলগুলো নতুন কিছু নয়, দুই বছর আগে ঘানার একজন ছাত্র দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানা যেতে চাইলে তাকে ব্রাজিলের গুইয়ানিয়া শহরে পৌঁছে দেয়া হয়।