বিবিসি-কে ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, ভিমিও-এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর হোয়াইট-লেবেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ব্র্যান্ড সার্ভিস, তার সঙ্গে যুক্ত স্মার্টফোন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট চালু করতে পারবেন। যদিও একজন গবেষক ভিডিও-স্ট্রিমিং বাজারকে 'ক্রমশই জনাকীর্ণ' বলে উল্লেখ করেছেন। শীর্ষ ভিডিও-নির্মাতা যেমন ডিজনি, শোটাইম এবং এইচবিও কেবল টেলিভিশন, তাদের কমতে থাকা আয়ের সমতা করার জন্য তাদের ভিডিওর জন্য অনলাইন সাবস্ক্রিপশন চালু করেছে। অনলাইন ট্যালেন্ট এজেন্সি ফুলস্ক্রিন এবং ভিডিও শেয়ারিং জায়ান্ট ইউটিউবও আয় বৃদ্ধির জন্য ‘প্রিমিয়াম’ সুবিধা চালু করেছে।
ফুলস্ক্রিন-এর প্রতিষ্ঠাতা জর্জ স্ট্রমপোলোস বিবিসিকে বলেন, “প্রিমিয়াম উৎপাদনের ক্ষেত্রে, ফ্রি ওয়েবের উৎপাদন সংক্রান্ত অর্থনীতি এখানে কাজ করে না।” এন্ডার্স এর শিল্পবিষয়ক বিশ্লেষক টম হ্যারিংটন জানান, সাবস্ক্রিপশন সুবিধা ব্যবহারকারীদের জন্য ‘অধিকতর ভালো’ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। বিবিসিকে তিনি বলেন, “ইউটিউবে অসাধারণ কিছু বিষয় থাকলেও এখানে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় জিনিসও রয়েছে।”
ভিমিও প্রধান কেরি ট্রেইনর জানান, অনলাইন ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি ‘অল্পকিছু গতানুগতিক সাবস্ক্রিপশন সুবিধা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে লাভভিত্তিক স্ট্রিমিং চ্যানেলে পরিণত হয়েছে’ এবং ভিমিও ‘পরবর্তী প্রজন্মের প্রিমিয়াম ভিডিও চ্যানেল’ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
প্রতিষ্ঠানটি কখনো তাদের আয় প্রকাশ না করলেও জানায়, ২০০৪ সালে ওয়েবসাইট চালু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এখানে ১২ লাখ ভিডিও বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে।