গবেষকরা ১৫ বছরেরও বেশি দিন ধরে করা ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ল্যাপটপ প্রোগ্রাম বিশ্লেষণ করে বুঝতে পেরেছেন, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান আর সাহিত্যের পরীক্ষায় ভালো ফলের সঙ্গে এই প্রোগ্রামগুলো ভালোভাবেই জড়িত বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
“গত কয়েক যুগে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ ল্যাপটপ প্রোগ্রাম ব্যাপক ভাবে বিস্তার পেলেও, এগুলো সাশ্রয়ী কিনা বা শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় উপকারী কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে”, বলেন এই গবেষণার প্রধান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি-এর শিক্ষা প্রযুক্তিবিষয়ক সহকারী অধ্যাপক বিনবিন জেং।
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে এটা তার মূল্য আর প্রচেষ্টার যোগ্য হবে, কারণ এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব, তাদের মনোযোগ আর উদ্যম বৃদ্ধি করে, ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক উন্নত করে আর প্রযুক্তিগত দক্ষতা আর সমস্যা সমাধানের মতো একবিংশ শতাব্দীর কুশলতাগুলোকে বর্ধিত করে।”
সফল হওয়া ল্যাপটপ প্রোগ্রামগুলোর উপকারীতার মধ্যে পরীক্ষায় মানসম্মত ফল ছাড়াও উন্নত লেখার প্রক্রিয়াও আছে।
জেং বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের লেখায় বেশি প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, নিজেদের লেখা বেশি সংশোধন আর আবার পড়েছে, লেখা আর প্রকাশনার জন্য বৃহত্তর পরিসরে তথ্য সংগ্রহের দিকে ঝুঁকেছে আর নিজেদের কাজ অন্যদের সঙ্গে আগের তুলনায় বেশি শেয়ার করেছে।”