ফুসবল খেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা

মডিফাইড ফুসবল টেবিলে চালানো যায় এমন একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যন্ত্র বানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ব্রিগহ্যাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির স্নাতক শ্রেণীর একটি দল। সিএনএন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক একটি গেমে মেশিনটি একজন মানব খেলোয়ারকে চার দুইয়ে হারিয়েছে।

জাকিয়া শবনম বৃষ্টিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2016, 05:28 PM
Updated : 2 May 2016, 05:28 PM

“ব্যাপারটা এমন না যে, আমাদের একটি কম্পিউটারাইজড ফুসবল টেবিলের দরকার আছে। এটা এর চেয়েও বড় একটি সমস্যার ছোট একটি উদাহরণ”, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী নাথান ওয়ার্নার একটি ভিডিওতে এমনটি বলেন।

ভবিষ্যতে কম্পিউটারকে আরও সূক্ষভাবে তার চারপাশের বাস্তবিক অবস্থা্র মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীল হতে হবে। কম্পিউটারকে স্বচালিত গাড়ির ভিতরে থাকতে দেখা যাবে, রোবটিক সাহায্যকারী হিসেবেও কম্পিউটার আসবে। কতটা দ্রুতগতির আর অভিযোজিত হতে হবে কম্পিউটার আর বটগুলোকে তার উদাহরণ হল ফুসবল খেলায় এই প্রগ্রামিং সফটওয়্যারটি।

প্রফেসর ডি. জে. লি সিএনএনকে জানান, প্রকল্পটি দ্বারা মানুষ যা করে তা কিভাবে যন্ত্রকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া যায় তা ওয়ার্নার সহ আরও পাঁচ জন শিক্ষার্থী শিখেছেন।

কোন সংস্করণটি সবচেয়ে ভাল কাজ করে তা জানার জন্য আড়াই মাসের মধ্যে তারা সফটওয়্যার প্রগ্রামটির ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণের বিপরীতে খেলেছে। তারপর তারা বাচ্চাদেরসহ প্রাপ্তবয়স্ক আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও আমন্ত্রণ জানায় খেলার জন্য।  

“কম্পিউটার প্রগ্রামটি কিছু খেলায় যেমন জিতেছে, হেরেছেও তেমন” —লি বলেন। “এটাকে আরও উন্নত করতে আমরা এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই মুহূর্তে এটা একটা মানুষের মতোই কার্যকরী”।

লি’র ইলেক্ট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা একটি প্রোগ্রাম বানায় যা সস্তার ওয়েব ক্যামেরা ব্যবহার করে দেখবে কোথায় ফুসবলটি যাচ্ছে। তারপর পোলগুলোকে টান দিয়ে বলে মারবে। তবে নিজে শিখতে পারার মতো যন্ত্র নয় এটি। কখন ‘ডিফেন্স’ আর কখন ‘অফেন্স’ অবস্থায় থাকতে হবে এই কৈশলগুলো শিক্ষার্থীরা কোডে প্রগাম করে দিয়ে দেয়।

তারপরও অনেক সময় এই ‘এআই’ মানুষের চেয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলতে পারে।

ওয়ার্নার বলেন, “এর সঙ্গে চলতে আমাদের আসলে কষ্টই করতে হয়”।

মেশিন লার্নিং আর এআই প্রযুক্তি কম্পিউটার তথ্যের মধ্যে প্যাটার্নগুলোকে চিনে সেখান থেকে অনুমান করে নিতে পারে।

নিজে নিজে শিখতে পারা বটগুলোকে সেনাবাহিনীর কাজে লাগিয়ে, ভবিষ্যতে ভয়ংকর যুদ্ধ চালানো হতে পারে বলে কিছু বৈজ্ঞানিক আর প্রযুক্তিবিদরা সতর্ক করছেন। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবেও একে ব্যবহার করা হতে পারে, এতেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বেকারত্ব বাড়বে।