কিন্তু এটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিভ্রান্তির সৃষ্টি এবং গ্রুপ সেক্সকে উৎসাহিত করেছে বলে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে তারা ‘টিনডার সোশাল’ নামে একটি ফিচার পরীক্ষা করছে। নতুন এই ফিচারটি একজন মানুষকে অপর একজন মানুষের পরিবর্তে একটি দলের কাছাকাছি যেতে সহায়তা করে। আর এ ব্যাপারটিই বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
এই অ্যাপটি ফেইসবুক বন্ধুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটি ব্যবহারকারীদের তাদের বন্ধুদের মধ্যে কারা ‘ব্লাইন্ড ডেটিংয়ে’ বা অপরিচিত কারো সঙ্গে ডেটে যতে আগ্রহী তা জানতে সহায়তা করে। কিন্তু এর ফলে যারা এই ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন নতুন ফিচারটি তাদের সম্মতি থাকুক আর না থাকুক এই অ্যাপটি তাদের পরিচয় প্রকাশ করে দেবে।
শুধু তাই নয়, এই সাইট বন্ধুদের প্রোফাইল দেখা সহজ করে দেবে। একজন এ সম্পর্কে টুইটারে টুইট করে বলেছেন, “টিনডারে আপনার বৃত্তান্ত দেখে আপনার ফেইসবুকের বন্ধুরা আপনাকে উপহাস করবে।”
টিনডার ব্যবহারকারীরদের মধ্যে যারা নিজেদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান তারা এই পরীক্ষামূলক ফিচারটি সেটিংসে ‘অপ্ট আউট’ করে ব্যবহার বন্ধ করতে পারবেন। আর যারা এই ফিচারটি ব্যবহারের জন্য ‘অপ্ট ইন’ করবেন তারা যে টিনডারে আছেন তা তাদের অজ্ঞাতেই হয়তো জানাজানি হয়ে যাবে।
এমনকি টিনডারের এই নতুন অ্যাপ ‘টিনডার সোশাল’ এর মূল উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। কেননা টিনডার যেহেতু প্রায়ই ‘ক্যাজুয়াল সেক্স’-এর জন্য ব্যবহৃত হয় তাই ধারণা করা হচ্ছে এই ফিচারটি অনেকেই গ্রুপ সেক্সের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই ফিচারটি সম্পর্কে বলেছে, “এই ফিচারটি সাটামাদা একটি নিশিভ্রমণকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”
প্রতিষ্ঠানটি জোর দিয়ে জানিয়েছে এই অ্যাপটি কেবল নতুন বন্ধু তৈরিতে সাহায্যের জন্যই চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালে টিনডার ‘হুক-আপ কালচার’ চালু করছে বলে একটি লেখায় দাবি করলে সেসময় এর বিরুদ্ধে টুইটের বন্যা বয়ে গিয়েছিল।
আপাতত এই ফিচারটি কেবল অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীর ছোট একটি দলের জন্য চালু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সবার জন্য এটি চালু হবে।