পাসওয়ার্ড দাও নইলে জেলে থাকো!

হার্ডড্রাইভ ডিক্রিপ্ট করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রাক্তন এক পুলিশ সার্জেন্টকে সাত মাস যাবত কারাগারে আটকে রেখেছে মার্কিন এক আদালত।

ইফতেখার আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2016, 11:46 AM
Updated : 30 April 2016, 11:46 AM

আদালতের রায়ে বলা হয়, পাসওয়ার্ডের সাহায্যে সুরক্ষিত ডিভাইসগুলো আনলকে "যতক্ষণ পর্যন্ত না ঐ ব্যক্তি পুরোপুরিভাবে সহায়তা করছেন" ততক্ষণ পর্যন্ত যেনো তাকে কারাগারে আটক রাখা হয়।

২০১৫ সালের মার্চে পেনসিলভানিয়ায় তার ডেলাওয়ার কাউন্টির বাসা থেকে কম্পিউটার ইকুইপমেন্ট জব্দ করেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে ছিলো পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত দুটি হার্ড ড্রাইভ। সংশ্লিষ্ট হার্ড ড্রাইভ দুটিতে শিশুদের অশ্লীল ছবি রয়েছে বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এসব ছবি রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করছেন বলে জানা গেছে। তার পক্ষের আইনজীবী জানান, "তিনি জীবনে কখনোই কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি।"

২৪ এপ্রিল দাখিলকৃত এ আপিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, তিনি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে হাজির হয়ে হার্ড ড্রাইভ দুটিতে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করালেও তা কাজ করেনি। এ প্রসংগে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। ফলে আদালতের রায়ে তাকে কারাবন্দী করা হয়। এ ছাড়াও এতে আসলেই অশ্লীল ছবি রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে তদন্তকারীদের স্পষ্ট ধারণা না থাকায় তাকে হার্ড ড্রাইভগুলো ডিক্রিপ্ট করতে বাধ্য করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় আপিলে।

আইনত কারণে তার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট আর্স টেকনিকা থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তদন্তকারীরা ফ্রিনেট নামক একটি অনলাইন নেটওয়ার্কে নজর রাখার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাসা তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নেন।

হার্ড ড্রাইভগুলো ডিক্রিপ্ট করায় তাকে বাধ্য করা যাবে না-ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এমন রুল জারির পর এই মামলা ফেডারেল আদালতে তোলা হয়। এতে সরকারপক্ষ অল রিটস অ্যাক্ট-এর অধীনে ঐ ব্যক্তির সহযোগিতা আদায়ের দাবি জানায়।

তার পক্ষের আইনজীবী কিথ ডনো বলেন, "স্ববিরোধী সাক্ষ্য দেওয়ার বিরুদ্ধে পঞ্চম অ্যামেন্ডমেন্ট থেকে প্রাপ্ত সুযোগের উল্লেখের কারণেই তাকে আটক রাখা হয়েছে।"

অভিযুক্ত ব্যক্তির আপিলের সাথে একমত পোষণ করেছে ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন (ইএফএফ)। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, "এই নির্দেশ মেনে নেওয়ার মানে সরকারপক্ষের আগেকার সিদ্ধান্তের বাইরের তথ্যও জানিয়ে দেওয়া।"