গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে আট লাখ শিশু কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। এর মানে হচ্ছে, একটা স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অন্তত তিনটি শিশু মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত।
বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জনের ১৪ বছর বয়সের আগেই এর উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তরুণদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাবের আগে দ্রুত হস্তক্ষেপই সমস্যা চিহ্নিতকরণের চাবি।
ইয়ং মাইন্ডস নামের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক এক দাতব্য সংস্থার মিডিয়া অ্যান্ড ক্যাম্পেইনস ম্যানেজার নিক হ্যারোপ বলেন, “আমরা জানি দ্রুত হস্তক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সমাজসেবক, মা-বাবাকে সাহায্য করার কর্মসূচি, শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান এবং স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি –ইত্যাদি ক্ষেত্রে বারবার তাদের বাজেট কমাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি সেবাদানের ক্ষেত্রে একটা বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে যা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারছে না। তরুণদের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা তা বর্তমানে পোস্টকোড লটারির দয়াতে পরিণত হয়েছে।”
এ ছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, অনেক আধুনিক জীবনব্যবস্থা শিশুদের উপর অনেক চাপ ফেলছে। এর মধ্যে রয়েছে, "পরিবার ভাঙ্গন, স্কুলের চাপ, শারীরিক আকৃতিগত সমস্যা, ২৪/৭ অনলাইন নেটওয়ার্কিং, বুলিয়িং এবং অফলাইন এবং স্কুলে সব চাপের ফলে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা।”