এই অভিযানের প্রকৌশলীরা জানান, বৃহষ্পতিবার কেপলার-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে গেলে তারা এর কিছু অসুবিধা দেখতে পান। পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে এটি তার 'পাওয়ার সাপ্লাই'কে দ্রুত খরচ করছিল।
জরুরী অবস্থা 'সর্বনিম্ন কর্মক্ষম অবস্থা' এবং এ সময় 'অতিরিক্ত জ্বালানী দরকার' হয় বলে জানিয়েছে নাসা।
এমন দূরত্বে থাকা দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি মেরামত করা প্রায় অসম্ভব বলে নাসা সূত্রে জানিয়েছে সিএনএন। কেপলারের সংকেত তাৎক্ষণিকভাবে এসে পৌঁছায় না, ফলে এর সঙ্গে যোগাযোগের গতি কমে যাচ্ছে। এমনকি আলোর গতিতেও এর সংকেত এসে আবার পৌঁছাতে ১৩ মিনিট সময় লাগছে বলে নাসা জানায়।
২০০৯ সালে কেপলার দূরবীক্ষণটি চালু করার পরে এটি একটি ব্যস্ত মহাকাশযান ছিল। নাসা জানায়, এর উদ্দেশ্য ছিল ছায়াপথ নিরীক্ষা করে এতে কী পরিমাণ নক্ষত্র এবং কোনো বসবাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা।
অন্যান্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে গ্রহ খুব বেশী নেই, কিন্তু সেগুলো বসবাসের যোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করতে কেপলার অনেক দূরে চলে গেছে।
২০১৫ সালে কেপলার নিশ্চিত করে, সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রের পাশে বসবাসযোগ্য একটি গ্রহ রয়েছে, যাকে পৃথিবীর 'বড় ভাই' বলে উল্লেখ করে নাসা।
২০১২ সালে এর প্রথম অভিযান পর্যন্ত সৌরজগতের বাইরে এটি প্রায় পাঁচ হাজার গ্রহের খোঁজ পায়। এর মধ্যে নাসা এক হাজারটি গ্রহের খবর নিশ্চিত করে।