পরের ধাপ চাঁদে আবাসন: নভোচারি টিম পিক 

চাঁদে উপনিবেশ স্থাপনই পরবর্তী মহাকাশ গবেষণার জন্য যৌক্তিক পদক্ষেপ হতে পারে বলে সুপারিশ করেছেন ব্রিটিশ মহাকাশচারী টিম পিক।

মোস্তফা মিনহাজ উদ্দিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2016, 04:41 PM
Updated : 31 March 2016, 04:41 PM

পৃথিবী থেকে উড্ডয়নের পর প্রথম সরাসরি স্বাক্ষাৎকারে মেজর পিক স্কাই নিউজ দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। চাঁদে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেজর পিক একে 'মহৎ লক্ষ্য' হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের বিকিরণ উদঘাটন এবং শক্তি উৎপাদনের মতো অনেক 'চ্যালেঞ্জের' অনুসন্ধান করতে সক্ষম করবে, চাঁদ নিজেই গবেষণার জন্য একটি চমৎকার জায়গা। চাঁদ সম্পর্কে অসংখ্য বিষয় আছে যা আমাদের উদ্ঘাটন করতে হবে। এটা আমাদের পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কেও তথ্য দেবে।”

"আমি আশা করি একে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য এবং ভবিষ্যতে মঙ্গলে পদবিন্যাসের চিহ্ন হিসেবে দেখতে পাব।”

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দিনে ২৫০ এর বেশী পরীক্ষা করতে মহাকাশচারীরা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করছেন বলে জানান তিনি। কিছু গবেষণায় কীভাবে বার্ধক্য হাড়ের উপর প্রভাব ফেলে এবং পেশীর ক্ষয় করে তা দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অল্প মধ্যাকর্ষণে জীবাণুরা কেন প্রকট হয়ে ওঠে তার উপরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

মেজর পিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস থাকবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকেই স্বাক্ষাৎকারটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানে তিনি স্কাই নিউজকে জানান তিনি আবার একদিন ফিরে আসার আশা করছেন।

এটা খুবই আসক্তিকর এবং এখানে থাকা ‘একটি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা’ বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই আশা করি আরও কয়েকবার ফিরে আসতে হবে।"

পাশাপাশি তিনি জানান, পৃথিবী থেকে দূরে থাকায় তিনি অনেক কিছুর অভাব অনুভব করছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশুদ্ধ বাতাস, উন্মুক্ত স্থান এবং প্রাকৃতিক সবুজ রঙ।

মেজর পিক ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থেকে হেলিকপ্টারের প্রশিক্ষক পাইলট থেকে অবসরের পর ২০০৯ সালে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থায় যোগ দেন।