সাগরের পানি বৃদ্ধি ঠেকানোর কৌশল ব্যর্থ

সাগরের পানির ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানোর একটি উপায় হিসেবে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে সমুদ্রের পানি পাম্পিং-এর কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন জার্মানীর গবেষকেরা। তবে, এ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্যতা ও ঝুঁকির বিচারে এ ধারণা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

ইফতেখার আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2016, 12:06 PM
Updated : 15 March 2016, 12:06 PM

সমুদ্রের পানি পাম্প করে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে পরিবহন করা হলে এ পানি জমে বরফে পরিণত হবে, যার ফলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তবে এ প্রক্রিয়ায় অ্যান্টার্কটিকার কমপক্ষে ৪৩০ মাইল (৬৯০ কিমি) ভেতরে পানি পরিবহনের প্রয়োজন হবে, যাতে বিশ্বের বর্তমান বার্ষিক উৎপাদিত শক্তির শতকরা দশ শতাংশের বেশি ব্যয় হবে। এ ছাড়াও অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের কাছে পানি পাম্প করা হলে তা অবশিষ্ট বরফকে বাইরের দিকে ঠেলে দেবে, যা স্বাভাবিক বরফ হ্রাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এর ফলে অ্যান্টার্কটিক-এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে আর্থ সিস্টেম ডায়নামিকস জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনের প্রধান লেখক কাটজা ফ্রিলার জানান, এ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব না। এছাড়াও তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল হতে পারে- যার ফলে নিউ ইয়র্ক হয়তো বেঁচে যেতে পারে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশকে বাঁচানো যাবেনা, আর তা স্পষ্টভাবেই ন্যায্যতার প্রশ্ন তোলে।”

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পটসড্যাম ইনস্টিটিউট-এর অ্যান্ডার্স লিভারম্যান বলেন, “সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপারটির ব্যাপকতা এতো বেশি, কোনো কল্পনাযোগ্য প্রকৌশলগত প্রক্রিয়ায় তা হ্রাস করা যাবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।”

যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বর্তমান হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৩০ সেমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।