২০১০ সালে ভারতে ফেইসবুকের প্রথম কর্মী হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উইলিয়াম ইসটন আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান নিয়ারি-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন তিনি।
ফেইসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, “কিরথিগা রেডি যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান কার্যালয়ে ফিরে যাচ্ছেন।”
'ফ্রি বেসিকস' বাতিল আর তার হঠাৎ ভারত ছাড়া কী একই সূত্রে গাঁথা? এমনটা মানতে নারাজ ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, “তার কাজের সময়ে, কিরিথিগা আমাদের আমাদের ফ্রি বেসিকস প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।”
সম্প্রতি ফেইসবুকের ‘ফ্রি বেসিকস’ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় ভারতের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। ‘ফ্রি বেসিকস’-এর মাধ্যমে বিনা খরচে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারতেন দেশটির ব্যবহারকারীরা।
নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান জাকারবার্গ। “প্রত্যেকেরই ইন্টারনেটে অ্যাকসেস থাকা উচিত”, বলে শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, "এ কারণে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপের সঙ্গে ইন্টারনেট ডটঅর্গ চালু করি-- এর মধ্যে সৌরচালিত ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট আর লেজারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে পরিসর বৃদ্ধি, ফ্রি বেসিকস-এর মাধ্যমে বিনামূল্যে ডেটা অ্যাকসেস সেবা সরবরাহ, অ্যাপের মাধ্যমে ডেটা ব্যবহার হ্রাস আর এক্সপ্রেস ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নও অন্তুর্ভূক্ত।"
৯ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া একটার দিকে লেখা ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, "আজকে ভারতের টেলিকম রেগুলেটর ডেটা ব্যবহারে ফ্রি অ্যাকসেস সেবা দেওয়ার প্রকল্প আটকে দিয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেট ডটঅর্গ প্রকল্পের একটি পদক্ষেপ- ফ্রি বেসিকস আর বিনামূল্যে ডেটা অ্যাকসেস সেবা দেওয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পগুলো আটকে গেল।"
এমন সিদ্ধান্তে হতাশ জাকারবার্গ, এ নিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে চেষ্টা চালানোর আভাস দিয়ে তিনি বলেন, “ইন্টারনেট ডটঅর্গ-এর অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে আর যতক্ষণ না সবাই ইন্টারনেট অ্যাকসেস সুবিধা পাচ্ছেন, সেই পর্যন্ত আমরা কাজ করেই যাব।”
ফেইসবুকের পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পে মাধ্যমে ৩৮টি দেশে ১ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি মানুষকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান জাকারবার্গ।