বিশেষজ্ঞ জানান, সেই ব্যবস্থায় হাসপাতালের কম্পিউটার, মেশিন আর ডিভাইসগুলো সংযুক্ত থাকে, তা হ্যাক করার উপায় হয়তো অপরাধীরা ইতোমধ্যেই জানে। যদি তারা এই 'ইনট্রানেট' হ্যাক করতে সক্ষম হয়, এতে সংযুক্ত সব ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যেতে পারে।
সার্জি লঝকিন নামের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, “ভাবুন তো, একটি মেয়ে তার মুখের ত্বকের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন। সেখানে কসমেটিক লেজারসহ অনেকগুলো ডিভাইস রয়েছে যা দিয়ে তিনি সহায়তা পারেন। কিন্তু কেউ যদি এটি হ্যাক করে ফেলে, এটা অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং একটি লেজার অস্ত্রে পরিণত হতে পারে। যদি ডাক্তাররা এই সমস্যা শনাক্ত করতে না পারেন, এটি দুর্ভাগা রোগীকে ‘মাইকেল জ্যাকসন’-এর মতো মেরে ফেলতে পারে।”
এ ছাড়াও, এর মাধ্যম হ্যাকাররা সহজেই রোগীদের তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে, যা দিয়ে যেসব রোগী তাদের বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের তার রোগ সম্পর্কে জানাননি, তাদের ব্ল্যাকমেইল করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি।
লঝকিন নিজেই রাশিয়ার মস্কোর একটি হাসপাতালের সিস্টেম হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এমআরআই মেশিনে করা স্ক্যানগুলো দেখতে পেয়েছেন।
“চিকিৎসা যন্ত্রপাতিগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না। কিন্তু এর উপর আমাদের জীবন নির্ভর করে। আধুনিক ডাক্তাররা আধুনিক প্রযুক্তি উপর অনেকবেশি নির্ভর করেন। যদি যন্ত্রপাতি হ্যাকের কোনো সুযোগ থাকে, একজন ভালো ডাক্তারও একটি বাজে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন”—সতর্ক করেন তিনি।
ব্রিটিশ হাসপাতালগুলোর মধ্যে ৩০০টির বেশি ‘হ্যাক করা যেতে পারে এমন ত্রুটি’ খুঁজে পেয়ছেন বলে দাবি এই গবেষকের। এই ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা সহজেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে বলে আশংকা তার।