নেটওয়ার্ক পণ্য ব্যবসায়ই নোকিয়ার মূল ব্যবসা। ২০১৫ সালের শেষ প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী এর লাভের পরিমাণ ১৪.৬ শতাংশ, জানিয়েছে রয়টার্স।
নোকিয়া গ্রুপের মোট ব্যবসা ৩ শতাংশ কমে ৪শ' ৮ কোটি ডলারে গিয়ে দাড়িঁয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনডেরেস ইকুইটি রিসার্চ-এর বিশ্লেষক মাইকেল রটানেন ব্লেন বলেন, “এই বছর তারা কোনো আর্থিক নির্দেশনা দেয়নি, আর বাইরের অবস্থা নিয়ে তারা যা জানিয়েছে তা হচ্ছে বাজারের চাহিদা কিছুটা দূর্বল মনে হচ্ছে। এটা অনেকটা কুয়াশায় হাটাঁর মতো।”
চলতি বছর জানুয়ারিতে ফরাসী টেলিকমিউনিকেশনস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালকাটেল-লুসেন্ট এর সিংহভাগ শেয়ার কিনে নেয় নোকিয়া। চলতি সপ্তাহে নোকিয়া জানিয়েছে, ১৫৬০ কোটি ইউরো-এর বিনিময়ে অ্যালকাটেল-এর ৯১ শতাংশ শেয়ার নিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে অ্যালকাটেল-লুসেন্ট জানিয়েছে, এর রেভিনিউ ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪১৬ কোটি ইউরোতে পৌঁছেছে।
সুইডিশ মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন আর চীনা মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে-এর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার লক্ষ্যে এই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নোকিয়া।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মালিকানা হাতবদলে সম্মতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। সম্মতিদানকালে ইউরোপিয়ান কমিশন জানায়, মালিকানা হাতবদলের পর ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতামূলক উদ্বেগ সৃষ্টি না হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রমের ভৌগলিক অবস্থান। ইউরোপ জুড়ে কাজ করে নোকিয়া। আর অ্যালকাটেল-লুসেন্টের শক্ত অবস্থান উত্তর আমেরিকায়।
নতুন ওই পদক্ষেপ নোকিয়ার মোবাইল ব্যবসাকে পুনরায় চাঙ্গা করে তুলতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।