কোম্পানির ডেটা লেনদেনে ইঙ্গ-মার্কিন চুক্তি হচ্ছে

শীঘ্রই হয়তো, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরাসরি একে অন্যের মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের কাছে ইমেইল ও অনলাইন চ্যাট ডেটা চাইতে পারবে। বিষয়টি কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে জোঁট বাঁধার আলোচনা করছে, ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ তা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 01:16 PM
Updated : 7 Feb 2016, 01:16 PM

নতুন এই পন্থায় কোনো দেশেরই আইন না ভেঙে তদন্ত করা হচ্ছে এমন ব্যক্তির অনলাইন ডেটা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার হয়তো তদন্তের খাতিরে কোনো ব্যক্তির অনলাইন ডেটা প্রয়োজন, কিন্তু ওই ব্যক্তির অনলাইন ডেটা রয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হাতে। বর্তমানে যে নীতিমালা রয়েছে, তাতে এই ডেটা হাতে পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে, কিন্তু নতুন নিয়মে এত ঝামেলা হবে না। নতুন নিয়মে সরাসরি যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করে নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক একইভাবে যুক্তরাজ্যও নিজ তদন্তের স্বার্থে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরাসরি ডেটা চাইতে ও সংগ্রহ করতে পারবে।

বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকতারা নিশ্চিত করলেও, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি কার্যকর হতে কংগ্রেস-এর অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে বলেই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রস্তাবিত যে চুক্তিটি আলোচনাধীন রয়েছে, সেটি পারস্পারিক হতে হবে এবং এটিকে কার্যকর করার জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন পড়বে।”        

মার্কিন বিচার বিভাগের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ সেবাদাতাদের কাছে ব্রিটিশ সরকার যখন কোনো বিদেশী নাগরিকের ইলেকট্রনিক ডেটার জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়, তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়, এ চুক্তির মূল লক্ষ্য ওই জটিলতাগুলোর ইতি টানা।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গোপনীয় আলোচনার ব্যাপারে দেশটি কোনো মন্তব্য করবে না। তবে বড় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের ডেটা অনুরোধের ব্যাপারে ‘দৃঢ়, সুশৃঙ্খল এবং স্বচ্ছ্ব কাঠামো’ চাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।