অনলাইনে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর তৎপরতা মোকাবেলায় নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাতে সম্প্রতি মার্কিন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিল গুগল, টুইটার আর ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। আর সেখানেই নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ওয়েব জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কিন সংসদের হোম অ্যাফেয়ার্স কমিটি, উপস্থিত ফেইসবুক আর টুইটার মুখপাত্রের সামনে নিজেদের নতুন পরিকল্পনার কথা জানান গুগল নির্বাহী অ্যান্থনি হাউজ। অনলাইনে যেসব ব্যবহারকারী উগ্রপন্থী কনটেন্ট দেখছেন তাদের ইতিবাচক কনটেন্ট দেখানো ‘অত্যন্ত জরুরী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ৭’শ ব্রিটিশ নাগরিক অনলাইন প্রোপাগান্ডায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিলেতি দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট।
ইউটিউব থেকেও নিয়মিত উগ্রপন্থী ভিডিও মুছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাউজ। ২০১৪ সালে ভিডিও শেয়ারিং সাইটটি থেকে প্রায় দেড় কোটি উগ্রপন্থী ভিডিও মুছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইন্টারনেটে উগ্রপন্থী কনটেন্ট ঠেকাতে মার্কিন হোম অ্যাফেয়ার্স কমিটি টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট। ওই কমিটির সঙ্গে আলোচনায় টুইটারে নেতিবাচক কনটেন্ট শেয়ার করা ঠেকাতে একশ’ কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান মাইক্রোব্লগিং সেবাটির পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিক পিকলস।