অ্যাসাঞ্জের পক্ষে জাতিসংঘ

ইকুয়েডর দূতাবাসে উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ‘আটকাবস্থা’ মানবাধিকার বিরোধী ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে বলে মত দিয়েছে জাতিসংঘ। তবে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্য আর সুইডেন সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2016, 02:01 PM
Updated : 5 Feb 2016, 02:01 PM

ধর্ষণের মামলায় সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে অবস্থান করছেন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ। জাতিসংঘের ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আর্বিটারি ডিটেনশন’ প্রধান সিয়ং-ফিল হং এ প্রসঙ্গে বলেন, অ্যাসাঞ্জ ‘বিনাবিচারে আটক রয়েছেন’।

যুক্তরাজ্য সরকার জাতিসংঘের ওই মত প্রত্যাখ্যান করেছে। অ্যাসাঞ্জকে আটক করতে জারি করা পরওয়ানা বহাল থাকবে এবং দূতাবাস থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হবে বলে জানানো হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে জাতিসংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে অ্যাসাঞ্জের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যার্ড ডটকম। 

পরিস্থিতি ‘অনেক বেশি হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইকুয়েডরের এই সমস্যা সমাধানে সুইডেনের সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মনে করে তারা। এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এতে কিছু বদলাবে না। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বিনাবিচারে নির্বাসিত হয়ে আছেন এমন যে কোনো ধরনের দাবি আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করি।”  

একইভাবে জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে সুইডিশ সরকারও। এক বিবৃতিতে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “অ্যাসাঞ্জ যে কোনো ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে বের হতে মুক্ত। এভাবে, কোনো সিদ্ধান্তে তার স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে না বা সুইডিশ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার ওয়ার্কিং গ্রুপের ওই মত প্রত্যাখ্যান করেছে।”

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য আর সুইডেনের বিপরীতে মামলায় হেরে গেলে নিজে স্বেচ্ছায় ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হয়ে ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করবেন এবং পরবর্তীতে আর কোনো আপিল করবেন না বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। জাতিসংঘের রায় তার পক্ষে যাওয়ার পর উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে তার ডাকা সংবাদ সম্মেলনটি পর্যন্ত।