বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদে মানব জীবনধারণের উপযোগী বাসস্থানের অবকাঠামো তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে রোবট। আর ওই ‘চাঁদের শহর’ থেকে মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা মঙ্গলে পানি পাওয়ার পর নতুন গতি পেয়েছে মহাকাশে নতুন প্রাণের সন্ধানে বিজ্ঞানীদের গবেষণা। এমন সময়েই ‘মুন ২০২০-২০৩০’ নামের দুই দিনের এক সম্মেলনে চাঁদে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানাল ইএসএ। এই ঘটনাকে ‘এ নিউ এরা অফ কোঅর্ডিনেটেড হিউম্যান অ্যান্ড রোবোটিক এক্সপ্লোরেশন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সান।
২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসের নুরভিক-এ ইউরোপিয়ান স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে মহাশূন্য গবেষণায় মানবজাতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে একসঙ্গে হয়েছিলেন ২শ’ মহাকাশ বিজ্ঞানী।
নাসার ক্যাথি লরিনি চাঁদে বসতি স্থাপন নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, “ইএসএর মহাকাশ গবেষণায় মঙ্গলের পথে চাঁদকে মানুষের প্রথম গন্তব্য হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে ২০১৩ সালে থ্রিডি প্রিন্টারের কাঁচামাল হিসেবে চাঁদের মাটি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করে ইএসএ। থ্রিডি প্রযুক্তিতে চাঁদে উপস্থিত কাঁচামাল দিয়েই নভোচারীদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি সম্ভব বলে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা।