আরও পারমাণবিক চুল্লি চালু হচ্ছে জাপানে

জাপানে দুটি পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েছে দেশটির আদালত। চুল্লির পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এগুলো নিরাপদ বলে আপিল করা হলে আদালত ওই অনুমতি দেয়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2015, 11:43 AM
Updated : 27 Dec 2015, 11:43 AM

২০১১ সালের ভূমিকম্প আর সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন স্থানীয়রা। একই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ওই দুটি চুল্লি বন্ধ রাখার জন্য আদালতে আপিল করেছিলেন পশ্চিম জাপানের ফুকুই অঞ্চলের অধিবাসীরা--জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ।

আদালতের অনুমতির ফলে কানসাই ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি পরিচালিত তাকাহামা ৩ ও ৪ নাম্বার পারমাণবিক চুল্লি দুটি চালু করার পথে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। ইতোমধ্যে চুল্লিগুলো চালু করতে নিরাপত্তা নীতিনির্ধারকদের অনুমতি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমর্থন পেয়েছে মালিক প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৬ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে চালু করার জন্য ৩ নাম্বার পারমাণবিক চুল্লি কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি রড পূর্ণ করা হবে। চালু করার আগে চুল্লিটির নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানোর ব্যবস্থা করছে কানসাই। 

জাপানে বন্ধ হয়ে যাওয়া পারমাণবিক চুল্লিগুলোর মধ্যে দুটি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। চালু করা হলে এই দুটি হবে পুনরায় চালু করা পারমাণবিক চুল্লিগুলোর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ। এ সারিতে পঞ্চম অবস্থানে অপেক্ষা করছে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের শিকোকু-তে অবস্থিত ইকাতা পারমাণবিক চুল্লি। জরুরী সময়ে অপসারণের পরিকল্পনা নিয়ে স্থানীয়দের শক্ত বিরোধিতা থাকায় এটি চালু করা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-এর সরকার দেশটিতে যত বেশি সম্ভব পারমাণবিক চুল্লি পুনরায় চালু করতে চাচ্ছে। দেশটির সরকারের ভাষ্যমতে, সম্পদের দিক থেকে ‘দরিদ্র’ জাপানের মূল চাবিকাঠি পারমাণবিক শক্তি হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে জাপানের পারমাণবিক প্রযুক্তি রপ্তানীতেও চাপ দিচ্ছেন আবে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে নতুন একটি সমঝোতা চুক্তিও করেছে দেশটি।

অন্যদিকে আদালতের ওই রায় ‘এমন কিছু যা নিয়ে আবারও কাজ করতে হবে’ বলে আখ্যা দিয়ে নতুন করে আবার আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবি হিরোইউকি কাওয়াই আর ইউইচি কায়দো। তারা জানান, তাকাহামা চুল্লিতে ভবিষ্যতে কোনো বিপর্যয় ঘটলে তারা ফুকুই জেলা আদালতের বিচারকদেরই দায়ী করবেন।