এক প্রতিবেদনে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘হেইট স্পিচ’ মুছে দেওয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করছিল জার্মান নিয়ন্ত্রকরা।
এ সম্পর্কে জার্মান বিচারমন্ত্রী হেইকো মাস জানিয়েছেন, নতুন এ সমঝোতার ফলে ব্যবহারকারী ও বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এখন সহজেই তিন প্রতিষ্ঠানের বিশেষ টিমের কাছে ‘হেইট স্পিচ’ প্রসঙ্গে রিপোর্ট করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, “যখন কোনো কনটেন্টের মাধ্যমে ‘ফ্রি স্পিচ’ এর সীমা লংঘন করে আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ করা হয় বা রাষ্ট্রদ্রোহী প্ররোচনার মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানো হয়, তখন সেই কনটেন্ট নেট থেকে মুছে দেওয়াই উচিত এবং আমরা ঠিক করেছি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ওই কনটেন্ট মুছে ফেলা সম্ভব।”
‘হেইট স্পিচ’ সড়াতে ব্যর্থতা নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জার্মানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ফেইসবুকের ইউরোপিয়ান প্রধান মার্টিন ওট-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
‘হেইট স্পিচ’ সড়াতে ব্যর্থতার সূত্র ধরে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত ফেইসবুক কার্যালয়ে সম্প্রতি হামলা চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।