তদন্তের মুখে ক্লাউড সেবা

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ক্লাউড স্টোরেজ সেবার জন্য অতিরিক্ত চার্জ রাখা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে শীঘ্রই তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে। তদন্তে গ্রাহক আইন লংঘন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2015, 02:19 PM
Updated : 1 Dec 2015, 02:19 PM

এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৫ সালের শুরুতে ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস)’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৪০ শতাংশ নাগরিক ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করেন।

সাধারণত ক্লাউড স্টোরেজ সেবাদাতারা নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত গিগাবাইট গ্রাহকদের বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। পরে গ্রাহকের আরও স্টোরেজের প্রয়োজন পড়লে, তারা প্রয়োজন অনুযায়ী ‘গিগাবাইট’ সেবাদাতার কাছ থেকে কিনে নেন। শীর্ষস্থানীয় ক্লাউড স্টোরেজ সেবার মধ্যে রয়েছে ওয়েব জায়ান্ট গুগলের ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ এবং মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইক্লাউড।

ক্লাউড স্টোরেজভিত্তিক তদন্তটি শুরু করতে যাচ্ছে ‘দ্য কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ)’। সিএমএ জানিয়েছে, কিছু সংখ্যক সেবাদাতা হয়তো গ্রাহক আইন লংঘন করছে। গ্রাহক চুক্তি করার পরও সেবার চার্জ বাড়ানো হতে পারে বা কী পরিমাণ ডেটার জন্য কত চার্জ ধরা হচ্ছে, সে বিষয়গুলো তদন্তে খতিয়ে দেখবে সিএমএ।

সিএমএ জানিয়েছে, তারা ক্লাউড স্টোরেজ সেবার নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত। এগুলো হচ্ছে, চুক্তির পরেও অপ্রত্যাশিতভাবে দাম বাড়ানো, স্টোরেজ ক্ষমতায় হঠাৎ করে পরিবর্তন আনা, গ্রাহক ডেটা স্টোরেজ সেবা থেকে হারিয়ে বা মুছে গেলে, চুক্তির মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন করে কীভাবে চুক্তি সম্পাদিত হয়, চুক্তি বাতিল করার পর গ্রাহকের ডেটার কী হচ্ছে ইত্যাদি।

এ প্রসঙ্গে সিএমএ-এর গ্রাহক বিভাগের সিনিয়র পরিচালক নিশা অরোরা বলেন, “যদি আমাদের পর্যালোচনায় ধরা পড়ে যে কোনোভাবে ‘গ্রাহক নিরাপত্তা আইন’ লংঘন করা হচ্ছে, তাহলে আমরা সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।”

এই ইস্যু নিয়ে সিএমএ ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত করবে এবং এ বিষয়ক তথ্য নিয়ে ২০১৬ সালের মে মাসে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।