ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আক্রমণকারীদের যেন সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব না হয়, সেজন্যই বিটকয়েনে মুক্তিপণ দাবি করছে হ্যাকাররা।
নিজেদের ‘আমার্ডা কালেকটিভ’ নামে পরিচয়দানকারী হ্যাকাররা বৃহস্পতিবার তিনটি গ্রিক ব্যাংকের অনলাইন কার্যক্রম কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করে দিলেও ব্যাংকগুলোর সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ও অ্যাকাউন্ট তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।
এ প্রসঙ্গে নাম গোপন রাখার শর্তে এক ব্যাংকার বলেন, “তারা শুধু কয়েক ঘন্টার জন্য ওয়েব ব্যাংকিং বন্ধ করতে পেরেছিল, এ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।” আক্রান্ত ব্যাংক তিনটি হ্যাকারদের কোনো মুক্তিপণ দেবে না এবং বিষয়টি সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গ্রিক সেন্ট্রাল ব্যাংক- কে অবহিত করেছে। বর্তমানে এ বিষয়ে গ্রিক সেন্ট্রাল ব্যাংক তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আরেক ব্যাংকার এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছি এবং দেশের গোয়েন্দা সংস্থাও এখন এই তদন্তে যোগ দিয়েছে। এটি খুব ছোট একটি সমস্যা যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব। ব্যাংক গ্রাহকদের এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।”
হ্যাকাররা ব্যাংক তিনটির অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস’ বা ডিডিওএস সাইবার আক্রমণ চালিয়েছিল। এরকম আক্রমণে নির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়িয়ে দিয়ে এক পর্যায়ে ওই সাইটকে অফলাইনে নিয়ে আসতে বাধ্য করে হ্যাকাররা।