নাসার ভাষ্যমতে, জীবের অস্তিত্ব আছে এমন অণু সন্ধান করাই কেমিক্যাল ল্যাপটপের একমাত্র উদ্দেশ্য। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, আমিষ আর কোষঝিল্লির প্রধান উপাদান অ্যামাইনো এসিড আর ফ্যাটি এসিড খোঁজার জন্য বানানো হয়েছে এটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভার্জ জানিয়েছে, মঙ্গল আর পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য স্থানে পাওয়া নমুনাকে বিশ্লেষণের আগে পানিতে দ্রবীভূত করতে হবে। এই কেমিক্যাল ল্যাপটপটি অনেকটা এসপ্রেসো মেশিনের মতো, যা নমুনাগুলো উত্তপ্ত করে পানিতে দ্রবীভূত করে। সেখানে রঞ্জক পদার্থ আর অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থগুলো, কোনো নমুনায় জীবের অণু পাওয়া গেলে তা শনাক্ত করতে পারবে। শুধু অ্যামাইনো এসিড আর ফ্যাটি এসিড শনাক্তই নয়, সেইসঙ্গে তা কোনো জীব থেকে এসেছে কি না তাও নির্ণয় করা যাবে এতে।
এক বিবৃতিতে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির জেসিকা ক্রিমার বলেন, "অন্য গ্রহে জীবের অস্তিত্ব আছে কিনা তার জন্য এটি সবচেয়ে ভালো প্রমাণ হবে।”