এক প্রতিবেদনে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, চলতি বছর অক্টোবরে কৃষ্ণ গহ্বরে রঞ্জন রশ্মি পর্যবেক্ষণ করে। এর ফলে তার এই তত্ত্ব নিশ্চয়তা পায় বলে জানান তিনি।
কৃষ্ণ গহ্বরের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র এতোটাই শক্তিশালী যে আলোও এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না —এতদিন ধারণাটা এমন থাকলেও, এতে রঞ্জন রশ্মির বিস্ফোরণ দেখতে পাওয়ার এ ঘটনা আগের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে আইনস্টাইনের দেওয়া প্রচলিত ধারণা পাল্টে নতুন ধারণা প্রস্তাব করেছেন মিত্র। তার মতে, একটি বিশাল নক্ষত্র সংকুচিত হয়ে কৃষ্ণ গহ্বরে পরিণত হয় আর নক্ষত্রে আটকে পড়া আলোক বিচ্ছুরণ সংকোচন প্রতিরোধ করে। তিনি বলেন, “এভাবে, আইনস্টাইনের দেওয়া তত্ত্বের কৃষ্ণ গহ্বরের ধারণার জায়গায় আমরা একটি বিশাল নক্ষত্রের অগ্নিগোলকে পরিণত হওয়ার ধারণা প্রস্তাব করেছি। আর এতে, মহাকর্ষের টানে গ্যাসের প্রবাহ ভিতরের দিকে যায়, আর ঘর্ষণের ফলে অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে রঞ্জন রশ্মি বিকিরণ করতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে সূর্যের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আকর্ষণ করে এমন অগ্নিগোলকের জন্য আমাদের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে সূর্য, যা করোনা নামের প্লাজমা পাতলা পরিমণ্ডলে আবদ্ধ।”
কৃষ্ণ গহ্বরে থেকে আসা রঞ্জন রশ্মির বিস্ফোরণ সূর্যের ‘করোনাল মাস ইজেকশন’- এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে জানান তিনি।
এই তত্ত্ব জ্যোতিঃপদার্থবিদরা যাতে ‘একটু কাছ থেকে বুঝতে পারে’, সেজন্য নাসার সর্বশেষ পর্যবেক্ষণটি প্রচার করা উচিত বলে মত দেন তিনি।