এবার শরণার্থী সহায়তায় স্টার্টআপ

প্রতিদিনই বাড়ছে শরণার্থীর সংখ্যা, আর সৃষ্টি হচ্ছে আবাসন সংকট। ঠিক এমন সময় শরণার্থীদের সহায়তায় ইচ্ছুক এমন মার্কিনিদের সহায়তা করতে কাজে নেমেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হাইভ। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তহবিলে চালু হয়েছিল এটি।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 12:16 PM
Updated : 28 Nov 2015, 12:16 PM

হাইভ পরিচালক ব্রায়ান রাইখ বলেন, “শরণার্থী সহায়তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় দাতা। আর অন্য যে কোনো রাষ্ট্রের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি শরণার্থী পুনর্বাসন করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে জনসতর্কতায় আর অর্থ সংগ্রহের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকের অবস্থানে নেই বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “মার্কিনিরা সব সময় চিন্তা করছে, আলাপ করছে বা এ নিয়ে কিছু করছে, এমন বিষয় নয় এটি।” এই অবস্থাটিকে বদলাতে চায় হাইভ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বৈশ্বিক কারণে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি মানুষ দান করে থাকে। কিন্তু মাত্র ১০ লাখ মানুষ শরণার্থী সংক্রান্ত কাজে সমর্থন যোগায় বলে জানান রাইখ। এই সংখ্যা বাড়াতে একটি দ্বিমুখী কৌশল হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশের যে সব জায়গায় মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন, সমকামীদের অধিকার, শরণার্থীদের সমর্থনের মতো সামাজিক বিষয়গুলোতে যুক্ত, সে সব ‘হটস্পট’ খুঁজে পেতে ‘প্রেডিকটিভ ডেটা মডেলিং’ ব্যবহার করবে প্রতিষ্ঠানটি। রাইখ বলেন, “২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ওই একই দলের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।”

শুরুতে দেশটির ছোটখাট সব শহরে শরণার্থীদের সহায়তা করেছেন কিন্তু তা ধারণ করা হয়নি এমন ২৮ কোটি মার্কিনিকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, ওয়াশিংটন ডিসি আর ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চল থেকে শরণার্থীদের জন্য বেশি সহায়তা আসে বলে জানিয়েছেন রাইখ। সেইসঙ্গে নতুন কিছু ‘হটস্পট’ খুঁজে পেয়েছে হাইভ- বস্টন, রালেই, ডেনভার, এল প্যাসো, মায়ামি আর হিউস্টন। আর পরবর্তী ধাপে মানুষকে এ বিষয়ে কাযে আগ্রহী করতে প্রচারণা চালানো হবে।

রাইখ বলেন, “আমেরিকানরা ভালো মানুষ। অধিকাংশই ভালো কিছু করতে যায়, শুধু একটি ছোট ধাক্কার প্রয়োজন।”