হ্যাকিংয়ের শিকার খেলনা নির্মাতা ভিটেক

হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে শিশুদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী আর ইলেকট্রনিক খেলনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিটেকের অ্যাপ স্টোর ডেটাবেইস আর লার্নিং লজ। ওই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের ভিটেক ডিভাইসে গেইম, ই-বুক আর অন্যান্য কনটেন্ট ডাউনলোড করতে পারে।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 11:29 AM
Updated : 28 Nov 2015, 11:29 AM

চলতি বছর ১৪ নভেম্বর এই ডেটাবেইসে ‘অননুমোদিত অ্যাকসেস’ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ঠিক কতজন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট না হলেও, প্রতিষ্ঠানটি একটি মেইল পেয়েছে, নাম প্রকাশ না করা এ সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অনলাইনে বিশাল পরিমাণে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের ডেটা দেখা যায়, যদিও এখন তা লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ডেটা হ্যাকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। এই ডেটার মধ্যে অনেক শিশুর নাম, জন্মতারিখ আর লৈঙ্গিক পরিচয়ও রয়েছে।

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক মেইলে বলা হয়, “অননুমোদিত অ্যাকসেস খুঁজে পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গেই পুরো তদন্ত চালাই, যার মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া সাইটগুলো আর ভবিষ্যতে এমন হামলা ঠেকানোর সামর্থ্য সম্পূর্ণ পরীক্ষাও করা হয়েছে।”

সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বলে, “গুরুত্বের বিষয় হচ্ছে আমাদের গ্রাহক ডেটাবেইসে কারও ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিংবিষয়ক তথ্য রাখা হয় না, এমনকি সামাজিক নিরাপত্তা নাম্বারও নয়।” তবে প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, এই ডেটাবেইসে ‘নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস, এনক্রিপটেড পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের প্রশ্নোত্তর, আইপি অ্যাড্রেস, মেইলিং অ্যাড্রেস আর ডাউনলোড হিস্টোরি’- এর মতো ‘গ্রাহকদের সাধারণ প্রোফাইল ইনফরমেশন’ রাখা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ‘এসকিউএল ইঞ্জেকশন’ নামের খুবই সাধারণ হ্যাকিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সারে’র সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড। তিনি বলেন, “যদি এটাই হয়ে থাকে তবে তা ক্ষমার অযোগ্য, এটা এতো পুরানো আক্রমণের কৌশল যে, যে কোনো ধরনের ভালো নিরাপত্তা পরীক্ষায় এটি ধরা পড়ার কথা।”

এই হ্যাকিংয়ে শিশুদের ঝুঁকি কমাতে তিনি বলেন, “যতো জলদি সম্ভব মা-বাবাকে এ বিষয়ে সতর্ক করা উচিত, এই ডেটাগুলো দিয়ে কীভাবে তাদের সন্তান ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তাও গুরুত্বের সঙ্গে বলা উচিত।”