রোববার থেকে এনএসএর আড়িপাতা বন্ধ

রোববার থেকে নিজেদের চলমান ফোন নজরদারি কর্মসূচি বন্ধ করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)। বহুল বিতর্কিত ওই কর্মসূচির অধীনে প্রতিদিন লাখো মার্কিন বাসিন্দার ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করা হত।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2015, 10:42 AM
Updated : 28 Nov 2015, 11:59 AM

এই পদক্ষেপটির মধ্য দিয়ে এক অর্থে প্রাইভেসি প্রশ্নে যারা এতদিন লড়ছিলেন, তাদের জয় হল বলেই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবার ওবামা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনএসএ নজরদারিবিষয়ক এ পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চলতি ঢালাও কর্মসূচির বদলে নতুন ধারার আরও স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নজরদারির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আইন মেনে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সময় ১১টা ৫৯ মিনিটে বর্তমান নজরদারি কর্মসূচির ইতি টানবে এনএসএ এবং ওই সময় নাগাদ নতুন কর্মসূচি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সাবেক এনএসএ ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেন এই নজরদারি কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের আড়াই বছর পর এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হল। যে আইনের অধীনে বর্তমান নজরদারি বন্ধ করা হচ্ছে, সে আইনটি ছয় মাস আগে পাস হয়েছে। আইনটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির নজরদারিবিষয়ক ক্ষমতা কমিয়ে আনবে বলেই জানিয়েছে রয়টার্স।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারসহ একাধিক স্থানে হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ঢালাও নজরদারি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। গৃহীত এই পদক্ষেপের ফলে আদতে মার্কিন ওই সংস্থাগুলোর ক্ষমতা হ্রাসের ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

ফ্রিডম অ্যাক্ট নামের ওই আইনের অধীনে, এনএসএ কিংবা কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখন থেকে আর কোনো মার্কিন বাসিন্দার ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করতে পারবে না। আর যদি এ ধরনের ডেটা সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে, তাহলেও আদালতের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, “আইনটি একটি সঙ্গত সমঝোতা সৃষ্টি করেছে, এর মাধ্যমে একদিকে দেশকে রক্ষা করা এবং অন্যদিকে বিভিন্ন পুনর্গঠন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”