এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউরোপের সবচেয়ে সফল কিকস্টার্টার প্রকল্প খ্যাত যানো মিনি ড্রোন প্রকল্প কিকস্টার্টার থেকে ২৩ লাখ পাউন্ড অনুদান সংগ্রহ করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
স্বভাবতই যানো প্রকল্পের অনুদানদাতারা বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন এবং কিকস্টার্টার প্ল্যাটফর্মটিতে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে আবার অনেক অনুদানদাতা প্রশ্ন করেছেন, প্রকল্প যেহেতু ব্যর্থ হয়েছে, সেহেতু তারা ওই প্রকল্পে দেওয়া অনুদান ফেরত পাবেন কিনা।
এমন পরিস্থিতিতে যানো প্রকল্পের কোন খাতে কত শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে তা কিকস্টার্টারের প্রকল্প পেইজে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টর্কিং গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ওই হিসেবে, উৎপাদন ও গুদামজাত বাবদ মোট অর্থের ৪৬ শতাংশ, মজুরি বাবদ ১৪ শতাংশ, ক্রয় রাজস্ব বাবদ ৯ শতাংশ এবং কিকস্টার্টার পেমেন্ট ফি বাবদ পাঁচ শতাংশ খরচ হয়েছে।
এ ছাড়াও পেমব্রোকশায়ার কাউন্টি কাউন্সিলকে ‘যানো’ তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেই জানিয়েছে টর্কিং গ্রুপ। এ ছাড়াও অনুদানদাতাদের কাছে নিজেদের ব্যর্থতার জন্য আবারও ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
“আপনাদের মতো আমরাও এই প্রকল্পে যা হয়েছে তা নিয়ে অসম্ভব হতাশ।”—বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বার্তায়। তবে, এতে নরম হয়নি কিকস্টার্টার। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে টর্কিংয়ের আরও বিস্তারিত হিসেব দিতে হবে, নইলে কিকস্টার্টারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।