মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে, এস্তোনিয়ার একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান লাই-ফাই নামের এই ধারণা এনেছে। লাই-ফাই বলতে একটি তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বুঝায়, যা ডেটা ট্রান্সফার করতে প্রচলিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তে আলো ব্যবহার করবে।
চলতি বছর স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতা স্লাশ ১০০-এর ফাইনালে অংশগ্রহণ করা ভেলমেন্নি নামের একটি প্রতিষ্ঠান জুগনু নামের একটি পদ্ধতির প্রস্তাব করছে। এতে ব্যবহার করা হবে স্মার্ট এলইডি বাল্ব যা আলোর সঙ্গে সঙ্গে ডেটাও পাঠাতে পারে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি এর মাধ্যমে অন্যান্য বাল্ব, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটে ডেটা পাঠানো যাবে। জুগনুর মাধ্যমে পাঠানো ডেটা গ্রহণ করতে পারবে এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানাতেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দীপক সোলানকি বলেন, "বিভিন্ন খাতে আমরা ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশন (ভিএলসি) কাজে লাগাতে পারব এমন কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। সম্প্রতি শিল্প পরিবেশের জন্য আমরা একটি উন্নত আলোক ব্যবস্থা বানিয়েছি যেখানে আলোর মাধ্যমে ডেটা পাঠানো যাবে। সেইসঙ্গে আমরা বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে ইন্টারনেটে অ্যাকসেস করাতে লাই-ফাই নেটওয়ার্ক বসানোর একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি।”
ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গের হ্যারাল্ড হাস এই লাই-ফাই প্রযুক্তি উদ্ভাবক। তবে, এখনই এ প্রযুক্তি ওয়াই-ফাই ডেটা ট্রান্সফার ব্যবস্থাকে সরাতে পারবে না। এজন্য কিছু সময় লাগবে, নতুন এই প্রযুক্তির জন্য ডিভাইসগুলোতে আনতে হবে পরিবর্তন আর বিশ্বের সব প্রচলিত বাল্বের জায়গায় এলইডি বাল্ব নিয়ে আসতে হবে।
২০১১ সালে এ সম্পর্কে হাস বলেছিলেন, "আমাদেরকে সম্ভাব্য সব আলোকসজ্জার ডিভাইসে একটি ক্ষুদ্র মাইক্রোচিপ সংযোজন করতে হবে। আর এতে আলোকসজ্জা আর তারবিহীন ডেটা ট্রান্সমিশন, এ দুটি মৌলিক কার্যকারিতায় সমন্বয় করা হবে।"
"ভবিষ্যতে আপনার শুধু ১,৪০০ কোটি লাইট বাল্বই থাকবে না, আরও পরিষ্কার আর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য হয়তো আপনার কাছে বিশ্বব্যাপী ১,৪০০ কোটি লাই-ফাই থাকবে"- নিজের উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমনটাই বলেন তিনি।