প্রাণ বাঁচাতে ৩ডি প্রিন্টেড ধমনী

এক নারীর মস্তিষ্কের ভেতর থাকা ধমনীর একটি ৩ডি প্রিন্টেড মডেলের সহায়তায় তার জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রপচার পরিচালনা করেছেন চিকিৎসকরা। ওই রোগীর মাথার ভেতরে ধমনীর প্রাচীরে ফুলে যাওয়া অংশ ঠিক করতে এই অস্ত্রপাচার করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ সমস্যাকে বলা হয় অ্যানিউরিজম।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 11:59 AM
Updated : 25 Nov 2015, 12:00 PM

শল্যচিকিৎসকদের প্রচলিত উপায়ে এটি ঠিক করা যেত না, ওই অংশের স্ক্যানে এমনটাই গিয়েছিল বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দৃষ্টিসমস্যা আর মাথাব্যাথায় ভোগার পর নিউ ইয়র্ক অধিবাসী থেরেসা ফ্লিন্ট-এর এই সমস্যা ধরা পড়ে। প্রচলিত উপায়ে চিকিৎসা করলে প্রাণনাশের ভয় থাকায়, এটি চিকিৎসাহীন অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়।

প্রচলিত উপায়ে ধমনী প্রাচীরে শক্তি যোগাতে একটি ধাতব ঝুড়ি বসানো হয় বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসা পরিচালনাকারী নিউ ইয়র্কের জ্যাকব ইনস্টিটিউট ইন বাফেলো এর প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা ড. আদনান সিদ্দিকী। তবে, এই উপায়ে ওই নারীর চিকিৎসা সম্ভব ছিল না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “ওই অবস্থায় এটি এত সাংঘাতিক একটি সমস্যা হয়েছিল যে তিনি প্রচণ্ড অস্বাভাবিক অ্যানিউরিজমে ভুগছিলেন, যা মাইক্রো-সার্জারির মাধ্যমে অনেক কৌশলে করতে হত।” তিনি আরও বলেন, “সব মানুষের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের রক্তনালীর শাখা-প্রশাখা আঙ্গুলের ছাপের মতো ভিন্ন।”

এ কারণে, সুবিধার জন্য ৩ডি প্রিন্টিং বিশেষজ্ঞ স্ট্রাটাসিসের সহায়তায় ফ্লিন্টের মস্তিষ্কের স্ক্যান থেকে ৩ডি প্রিন্টেড মডেল বানানো হয়। এর ফলে অপারেশন নিয়ে পরিকল্পনা করতে একটি রেপ্লিকা পান চিকিৎসকরা।

ড. সিদ্দিকী বলেন, “যখন আমরা যখন ওই প্রক্রিয়ায় কাজ করছিলাম তখন আমরা বুঝতে পারি আমরা ব্যবহার করতে চাই এমন কিছু যন্ত্রপাতি বদলাতে হবে। সার্জারির দিন আমরা সবচেয়ে ভালো কিছু করতে যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই চেষ্টা করেছি।”

সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এটা হয়তো অধিকাংশ সাধারণ ক্ষেত্রে দরকার হবে না, কিন্তু এটার গুরুত্ব অপরিসীম।”