এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম স্কাইনিউজ জানিয়েছে, শিশু ও অভিভাবকরা মিডিয়ার ব্যাপারে কী ধারণা পোষণ করেন, সে বিষয়ক এক প্রতিবেদনে তথ্যটি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি সাজানোর দায়িত্ব পালন করেছে যোগাযোগ ওয়াচডগ অফকম।
প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তমানে শিশুরা অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করে থাকে। এ ছাড়াও বিগত দশকে আট থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা অনলাইনে যে সময় ব্যয় করত তা বর্তমানে দ্বিগুণ হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২০ শতাংশ শিশু বিশ্বাস করে সার্চ ইঞ্জিনে যে তথ্য দেওয়া হয় তা সত্যি। শুধু এক-তৃতীয়াংশ শিশু পেইড-ফর অ্যাডভার্টাইজিং চিহ্নিত করতে পেরেছে।
ভিডিও ব্লগার বা ভ্লগাররা যে অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালাতে পারেন, সে বিষয়টি অধিকাংশ কিশোর বয়সীদেরই অজানা বলেই প্রতিবেদনে জানিয়েছে অফকম। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে অবশ্য ৫২ শতাংশ জানেন যে ইউটিউবের অর্থ আয়ের মূল উৎস হচ্ছে বিজ্ঞাপন।
এ ছাড়াও আট শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা ইউটিউবকে ‘সত্য এবং নির্ভুল’ সূত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। ৩১ শতাংশ শিশু জানিয়েছে— তারা অনেকসময় ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে থাকে, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে। আর প্রায় ১০ শতাংশ জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করাটা তারা পছন্দ করেন না।
এ প্রসঙ্গে বিবিসি করেছে, ওয়েব অভিজ্ঞতার দিক থেকে আগের প্রজন্মের চেয়ে বর্তমান প্রজন্ম এগিয়ে থাকলেও, বাস্তব বুদ্ধির দিক থেকে এই প্রজন্ম অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।