সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, “এই মাছ খাওয়ার জন্য নিরাপদ।”
প্রায় ২০ বছর আগে এফডিএর অনুমতির জন্য প্রথম আবেদন করে এর পেছনে থাকা জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাকুয়াবাউন্টি।
জিনগত প্রকৌশলে উৎপাদিত সামুদ্রিক খাদ্য ভোক্তারা খেতে চান না বলে মনে করছেন এর বিরোধীতাকারীরা। আর এই মাছ মুক্ত পরিবেশে ছাড়া হলে তা অন্যান্য মাছের জন্য ক্ষতিকর হবে বলেও নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। তবে, এফডিএর প্রাণি ওষুধবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. বার্নাডেট ডানহাম বলেন, “এফডিএ অ্যাকুয়াবাউন্টির দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করেছে আর এই মাছ খাওয়া নিরাপদ প্রমাণসহ অনুমোনের জন্য প্রয়োজনীয় সব নিয়ম-কানুন রক্ষা করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।”
এক্ষেত্রে শুধু কানাডা আর পানামাতেই এই স্যামন চাষ করা যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই মাছের চাষ করা যাবে না বলে বিধি নিষেধ দিয়েছে এফডিএ।
এই স্যামন ‘সাগর আর সাগরের অন্যান্য প্রাণীদের কোনো ক্ষতি না করেই পরিবেশ নিরাপদ রেখে ভোক্তাসাধারণের জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার আনতে ‘গেইমচেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করেন অ্যাকুয়াবাউন্টি প্রধান ড. রন স্টটিশ। কম সময়ে গতানুগতিক মাছের তুলনায় পরিপক্ক হয়ে উঠা এই স্যামন নগর এলাকায় ট্যাংকে চাষ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
কিন্তু এই স্যামন বিক্রেতারা বিক্রি করতে বা মানুষ কিনতে চাইবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।