এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যারড জানিয়েছে, গবেষণায় গবেষকরা মানবমস্তিষ্কের দুটি অংশ নেভিগেশন’ এবং স্মৃতির মধ্যে যে যোগাযোগ হয়ে থাকে, সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন।
তাত্ত্বিক বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার জন্য গবেষকরা পাহাড়, নীল আকাশ, সবুজ ঘাস এবং প্রতিনিয়ত মানুষ সাধারণত যে বস্তুগুলো দেখে থাকেন, সেগুলো নিয়ে একটি ভার্চুয়াল জগত তৈরি করেন।
এরপর গবেষকরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ওই স্থানে ভার্চুয়াল কোনো বস্তু হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে এবং বেড়ানো শেষে হাতের ওই ভার্চুয়াল বস্তুটি যেখান থেকে নেয়া হয়েছিল সেখানে পুনরায় রেখে দিতে বলেন।
পরীক্ষা চলাকালে গবেষকরা ‘এফএমআরআই’-এর সাহায্যে অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করেন। ফলাফলে গবেষকরা আবিষ্কার করেন, যাদের জেনেটিকভাবে আলঝেইমার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে তাদের নিউরাল কার্যক্রম ভিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছিল।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ‘গ্রিড সেল’ নামের নেভিগেশন কোষ ব্যবহার করবেন বলেই আশা করেছিলেন। কিন্তু তারা গ্রিড সেলের পরিবর্তে মস্তিষ্কের অন্য অংশে অবস্থিত কোষ হিপোক্যাম্পাস ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
কেন আলঝেইমার রোগীদের বিশ্বে ‘নেভিগেট’ করতে সমস্যা হয় সে প্রশ্নের উত্তর নিউরাল কার্যক্রমের এই পরিবর্তনের তথ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন গবেষকরা।