কম্পিউটার সুরক্ষা ধ্বংস, ক্ষতিকর কোড সরবরাহ আর ক্ষতিকর কোড সরবরাহের চেষ্টা- কিজের বিরুদ্ধে এ তিনটি অভিযোগ আনা হয়। সবকটি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ট্রিবিউন মিডিয়ার সিস্টেম অ্যাকসেস করতে অ্যানোনিমাস হ্যাকারদলকে তিনি পাসওয়ার্ড সরবরাহ করেন বলে আদালত জানিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি অনলাইন চ্যাট চ্যানেল ব্যবহার করে হ্যাকারদের উৎসাহিত করতেন বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানুয়ারিতে রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এমন অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও কিজের ক্ষেত্রে তা কম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কিজকে পাঁচ বছরের কম সাজা দেওয়া হতে পারে।
আসামীর পক্ষে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন কিজের আইনজীবী টর একেল্যান্ড।
ট্রিবিউন মিডিয়ার একজন মুখপাত্র গ্যারি ওইটম্যান বলেন, “বিচার বিভাগের কাজে আমরা সন্তুষ্ট।”
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কথা শোনার পর কিজ বলেন, “তারা একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শুধুমাত্র সাংবাদিকতা করার অপরাধে।’’ বারবার বিচার বিভাগ সাংবাদিকদের তাদের লক্ষ্যে পরিণত করছে বলেও মন্তুব্য করেন তিনি।
২০১২ সালে রয়টার্সে যোগ দেন কিইস। কিন্তু অভিযুক্ত হওয়ার এক মাস পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিজের সহায়তায় অ্যানোনিমাস হ্যাকারদল লস অ্যাঞ্জেলসের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম বদলে ‘প্রেসার বিল্ডস ইন হাউস টু ইলেক্ট চিপি ১৩৩৭’ করে দেয়। আর প্রথম অনুচ্ছেদ বদলে লেখা হয় ‘রিলাকট্যান্ট হাউস ডেমোক্র্যাটস টোল্ড টু সাক ইট আপ।’
এ সমস্যা সমাধান আর তদন্ত মিলিয়ে অন্তত পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে ট্রিবিউন মিডিয়া।