মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিনএনএন জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের সারফেইস ট্যাবলেট প্রচলিত ল্যাপটপের জায়গা দখল করে নেবে- শেষ কয়েক বছর ধরে এমনটাই বলে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সারফেইস বুক নিয়ে কাজ করা দলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এড গিয়াইমো বলেন, “কিছু মানুষ এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন।”
প্রথম দেখায় সারফেইস বুকটি দেখলে একটি ম্যাকবুকের মতো লাগে। তবে, এর কাজের ধরন পুরোই আলাদা। নতুন এই সারফেইস বুক সব ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ল্যাপটপের মতোই ব্যবহারযোগ্য। এর ডিসপ্লে স্ক্রিনে এক বিশেষ কবজা ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে, স্ক্রিনটি পুরোপুরি ঘুরিয়ে ক্লিপবোর্ডের মতো কিবোর্ডের পিছনে রেখে ব্যবহার করা যাবে।
আগের সারফেইস ট্যাবলেটের সঙ্গে শুধু ভালো কিবোর্ড যোগ করেই সারফেইস বুক ল্যাপটপ আনা হয়েছে- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এতে থাকছে ইনটেল কোর আই৫ বা আই৭ প্রসেসর। সেই সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে একটি গ্রাফিক্স প্রসেসর ইউনিট (জিপিইউ), যা ল্যাপটপের পারফরমেন্স বাড়াতে সহায়ক। এর ব্যাটারি চার ভাগের তিনভাগই কিবোর্ডে জমা থাকবে। একবার পুরোপুরি চার্জ দিলে ল্যাপটপটি টানা ১২ ঘন্টা চালানো সম্ভব বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
সারফেইস বুকের সঙ্গে নতুন সারফেইস প্রো ৪ ট্যাবলেট আর দুইটি লুমিয়া স্মার্টফোনও বের করেছে মাইক্রোসফট। আগের সারফেইস প্রো ৩ আর নতুন এই ট্যাবলেটের আকার একই রাখা হলেও, এর ডিসপ্লে আরও বড় করা হয়েছে। ১২.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ট্যাবলেটে আনা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার, বড় টাচপ্যাড আর উন্নত কিবোর্ড।
স্টাইলাসও উন্নত করেছে মাইক্রোসফট। এক বছর ব্যাটারি আয়ুর এই স্টাইলাস নতুন সারফেইস প্রো ৪ আর সারফেইস বুকের সঙ্গে চুম্বকে আটকে রাখা যাবে এটি। আর শেষের দিকে রাখা হয়েছে একটি ডিজিটাল ইরেজার।
‘নতুন করে পণ্য উদ্ভাবন’ আর ‘দরকারি উইন্ডোজ থেকে মানুষকে পছন্দের ও ভালোবাসার উইন্ডোজের দিকে সরানো’ মাইক্রোসফটের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সত্য নাদেলা।