অ্যাপলের গাড়ি নিয়ে যা জানা গেল

এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও, মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল যে গাড়ি সংক্রান্ত কোনো কিছু নিয়ে কাজ করছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 11:05 AM
Updated : 6 Oct 2015, 11:05 AM

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এমনটাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা সিএনএন।

অ্যাপল গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়ে ঠিক কী করতে চাচ্ছে, সে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ প্রকল্পের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।

প্রতিবেদনটির আলোকে অ্যাপলের ওই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

১. ইতোমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক গাড়ি প্রকৌশলী নিয়োগ দিয়েছে অ্যাপল। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে গাড়ির ব্যাটারি কিনেছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপলের নিয়োগ দেওয়া প্রকৌশলীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা এর আগে বেন্টলির বিভিন্ন গাড়ির প্রটোটাইপ তৈরি করেছেন এবং হিউন্দাই ও ক্রাইসলার গাড়ির শব্দ কমাতে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়াও বিগত ১২ মাসে অ্যাপল ও টেসলা মোটর্স অসংখ্য কর্মী নিজেদের মধ্যে বিনিময় করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

২. শুধু প্রকৌশলী নয়, অটোমোটিভ নির্বাহীও নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপল। এদের মধ্যে রয়েছেন ফিয়াট ক্রাইসলার সাবেক কর্মকর্তা ডগ বেটস, মার্সেডিজ-বেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা জোহান জাংওয়ার্থ। বেটস বর্তমানে অ্যাপলের অপারেশন ইউনিটে কাজ করছেন, আর জাংওয়ার্থ ম্যাক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

৩. অ্যাপলের ইজারা নেওয়া একটি ক্যামেরা ও সেন্সর বোঝাই গাড়ি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোর শহরতলীতে চালানো হচ্ছে। গাড়িটি যে অ্যাপলই ইজারা নিয়েছে, সে বিষয়টি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

৪. ইতোমধ্যেই অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই অ্যাপলকে আমন্ত্রন জানিয়েছে। স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এ বিষয়ে বলেছেন, “আমি আশা করছি, অ্যাপল গাড়ি ব্যবসায় যোগ দেবে।”

৫. অ্যাপলকে আমন্ত্রন জানানোর বেলায় পিছিয়ে নেই গাড়ি নির্মাতারাও। ফিয়াট ক্রাইসলারের প্রধান নির্বাহী সার্জিও মার্শোনা জানিয়েছেন, তিনি অ্যাপলের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যেতে রাজি এবং অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আমাদের সবার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানানো উচিত।”

৬. প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন। অ্যাপলের অন্যান্য পণ্য থাকা স্বত্ত্বেও মোট মুনাফার অধিকাংশই আসে আইফোন বিক্রির মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষক জেফরিস সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলেছেন, “আইফোনের বদলে গাড়ি যে বৈচিত্র্য উপহার দেবে তা খুবই প্রয়োজন।”