আবারও শীর্ষ ব্র্যান্ড অ্যাপল-গুগল

বিগত দুই বছরের মতো এবারও ইন্টারব্র্যান্ড বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডসের প্রতিবেদনের তালিকায় প্রথম দুই শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল ও ওয়েব জায়ান্ট গুগল।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2015, 01:20 PM
Updated : 14 Oct 2015, 12:38 PM

মার্কিন দৈনিক পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইন্টারব্র্যান্ড বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডসের তৈরি ওই প্রতিবেদনটি সোমবার উন্মুক্ত করা হবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালের ইন্টারব্র্যান্ড তালিকায় সবচেয়ে বেশি আধিপত্য বিস্তার করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটিতে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকার শীর্ষ দশ ব্র্যান্ডের মধ্যে ছয়টিই দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে আইবিএমকে ব্যবসায়িক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও অ্যামাজনকে ‘রিটেইল ব্র্যান্ড’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করায় শীর্ষ দশের তালিকায় মোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারটি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট এবং স্যামসাং।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, শীর্ষ দশের প্রথমস্থানে অ্যাপল, দ্বিতীয় স্থানে গুগল, চতুর্থ স্থানে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং।

শীর্ষ দশের ওই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কোমল পাণীয় উৎপাদক মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা, ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা এবং যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক ও ম্যাকডোনাল্ড’স।     

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ইন্টারব্র্যান্ড তালিকায় স্থান করে নিয়েছে চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘লেনোভো’। তালিকার শততম স্থানে থাকা এ ব্র্যান্ডটি ইন্টারব্র্যান্ড তালিকায় জায়গা করে নেওয়া দ্বিতীয় চীনা প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের তালিকায় প্রথম চীনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল হুয়াওয়ে।

গত বছরের তালিকায় ৯৪তম অবস্থানে থাকা হুয়াওয়ে এবার ৮৮তে উঠে এসেছে।

এক সাক্ষাৎকারে ইন্টারব্র্যান্ডের বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী জেজ ফ্র্যাম্পটন বলেছেন, “বর্তমান বাজারে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে চমৎকার ব্যবসায়িক ধারণার পাশপাশি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডেরও প্রয়োজন রয়েছে।”

ব্র্যান্ডেড পণ্যের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে এবং গ্রাহকদের সিদ্ধান্ত ও আনুগত্যের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডগুলো কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে, এসব বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর নিজেদের র‌্যাংকিং সাজিয়ে থাকে ইন্টারব্র্যান্ড বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডস।